নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ফেরি করে মিনি রসগোল্লা বিক্রি করেন মিঠুন রায় নামে এক তরুণ। তার রসগোল্লার চাহিদা ব্যাপক।
প্রতি পিস রসগোল্লা ৫ টাকা। মিনি এই রসগোল্লা বিক্রি করে বাবা-মায়ের ভরণপোষণ, চিকিৎসাসহ সংসারের সব খরচ চালান বহন করেন তিনি।
মিনি রসগোল্লার ফেরিওয়ালা মিঠুনের বাড়ি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে। ২১ বছরের মিঠুন এখনও বিয়ে করেননি।
মিঠুন জানান, ভগ্নিপতি স্বপন রায় হলেন মিষ্টির কারিগর। তার কাছ থেকে শিখেছেন রসগোল্লা তৈরির কলাকৌশল।
নিজের জমি-জমা কিছুই নেই। এ অবস্থায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে মিঠুন রায়কে। ২০২২ সালে জিপিএ-৪ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন গ্রামের একটি স্কুল থেকে। পরে মোমিনপুর কলেজে ভর্তি হন তিনি। টাকার অভাবে এখনও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি মিঠুন।
সৈয়দপুর শহরের পাড়া-মহল্লায় বাজার শপিংমলে অসংখ্য ক্রেতা রয়েছে মিঠুনের। ভারে করে মিষ্টি নিয়ে শহরে ঢুকলে ক্রেতারা খুঁজে নেন তাকে। অনেক ক্রেতা ২০টি পর্যন্ত রসগোল্লা খেয়ে থাকেন। এমনই একজন ক্রেতা হলেন সৈয়দপুর প্লাজার নারী উদ্যোক্তা পিন্ধনের স্বত্বাধিকারী আহমেদা ইয়াসমিন ইলা। তিনি বলেন, মিঠুনের মিষ্টির তুলনা নেই। ওকে দেখলে মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামলাতে পারি না।
ব্যবসায়ী নিশাদ বলেন, আমার ডায়াবেটিস আছে, তবুও চোখ বন্ধ করে খেয়ে নেই মিঠুনের মিষ্টি।
মিঠুন রায় ভোরের পাতাকে বলেন, প্রতিদিন ঘাড়ে ভার বহন করে প্রায় ৩ হাজার রসগোল্লা বিক্রি করে থাকি। আমার কাছে রেগুলার বাধা কিছু কাস্টমার রয়েছেন। তারা আমার রসগোল্লা প্রতিদিনই কিনেন। নতুন কাস্টমারও অনেক। এই রসগোল্লা বিক্রি করেই বাবা-মায়ের ও নিজের সব প্রয়োজনীয় খরচ বহন করছি।
তিনি বলেন, দুধ, চিনি, ময়দাসহ রসগোল্লা তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে। তাই মান ঠিক রেখে রসগোল্লার সাইজ কিছুটা ছোট করতে হয়েছে। দামও খুব কম। প্রতি পিস মাত্র ৫ টাকা। এই রসগোল্লা বিক্রি করে যেমন সংসার চলছে তেমনি সৎ পথে থাকার চেষ্টা করছি।