• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন |
Headline :
নীলফামারীতে এক যুগ পর স্বামীর হত্যার মামলা করেছে স্ত্রী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নীলফামারী জেলা কমিটি অনুমোদন প্রেসক্লাব জলঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ডোমারে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির গাড়ীবহরে হামলার প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নে বিএনপির জনসমাবেশ শেখ হাসিনা ক্ষমতার মসনদকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করেছিল-সমন্বয়ক তারিকুল

প্রতিনিয়ত আসছে নতুন মাদক, বিস্তার রোধে কঠোর হোন

মাহাদী হাসান মানিক / ৫৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

মাহাদী হাসান মানিক :

দেশে বহুল প্রচলিত মাদকের পাশাপাশি আসছে নতুন নতুন প্রাণঘাতী ড্রাগ। জানা যায়, ইয়াবার বিকল্প হিসাবে মাদকসেবীরা ‘ট্যাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড’ নামের ভয়ংকর এক নতুন ট্যাবলেটের দিকে ঝুঁকছে। ব্যথানাশক এ ট্যাবলেট ইয়াবার চেয়ে কম দামে গ্রামগঞ্জে পাওয়া যায় বলে আসক্তদের পছন্দের মাদকে পরিণত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইয়াবার চেয়েও বহুগুণ ক্ষতিকর। এটি সেবনে মৃত্যুঝুঁকি তো আছেই, অন্যান্য মাদকের মতোই এই ট্যাবলেট সেবনে জৈবিক শক্তি হ্রাস পাওয়া, কিডনি বিকলসহ নানারকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়। দেশে আগে এ ট্যাবলেট কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করলেও ২০২০ সালে সরকার এটিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসাবে ঘোষণা করায় এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে পার্শ্ববর্তী দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি এই ট্যাবলেট উৎপাদন করছে, যা সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে দেশে আসছে।

দেশজুড়ে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তখন মাদকসেবীদের কাছে এর বিকল্প হিসাবে ট্যাপেন্টাডলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি যে উদ্বেগজনক তা বলাই বাহুল্য। সহজে বহনযোগ্য, কম ঝুঁকি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য এখন পর্যন্ত এই ট্যাবলেট না চেনায় গত কয়েক মাস যাবৎ এর দ্রুত বিস্তার ঘটছে। যদিও কয়েক বছর ধরেই মাদক কারবারিরা একে গোপনে জনপ্রিয় করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সার্বিকভাবে দেশে মাদক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটলেও তা নির্মূলে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং মাদক প্রতিরোধে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, বর্তমানে মাদকের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক মাদকচক্র বাংলাদেশকে এখন ‘সেফ রুট’ হিসাবে ব্যবহার করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গডফাদারসহ উচ্চপর্যায়ের মাদক কারবারিরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

দেখা যায়, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়াদের অধিকাংশই মাদকের বাহক। আবার এলাকায় যারা ক্ষুদ্র মাদক কারবারি হিসাবে পরিচিত, তারা মাঝেমধ্যে গ্রেপ্তার হলেও অল্পদিনেই ছাড়া পেয়ে ফের একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

দেশে মাদক বিস্তারের এটিও অন্যতম কারণ। কাজেই এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু বাহক নয়, সমন্বিতভাবে গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, মাদকের বিস্তার রোধ করতে না পারলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে। দেশে মাদকের বিস্তার রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category