গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কার্যালয় এর কোন বিদেশী এনজিওর বৈদেশিক অর্থায়নের অনুমোদন ও অর্থ ছাড়করণের (এফসি-১) এর প্রথম শর্ত হলো ১) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে সম্পৃক্ত রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, ২) উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন শেষে দুই মাসের মধ্যে সমাপনি প্রতিবেদন অডিট রিপোর্ট এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যায়নপত্র অত্র ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সার্কুলার মোতাবেক আয়কর ভ্যাট ট্যাক্স কর্তন করতে হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে সৈয়দপুরে ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস (হিড) এর বিতরণ ও ওব্যাট কানাডার অর্থায়নে প্রান্তিক উন্নয়ন সোসাইটি ১৮০০ গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানীর মাংস বিতরণ প্রোগ্রাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত না করেই নিজেরাই বরাদ্দের কম মূল্যে পশু ক্রয় করে মাংস বিতরণ করেছেন।
সেখানে ওব্যাট কানাডার মাংস বিতরণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় একজন সাংবাদিককে সভাপতি করে মাংস বিতরণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পরপর তিনদিন যোগাযোগ করেও ওব্যাট কানাডার এফসি-১ এফডি-৬ কিংবা পশুর পরিমান এবং বরাদ্দের পরিমান এবং কারা এটি মাংস পাওয়ার অধিকারী সে ব্যাপারে কোন কাগজপত্রই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান এখন পর্যন্ত তারা কোনপ্রকার কাগজপত্র জমা দেয়নি।
উপজেলা এনজিও বিষয়ক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন ওব্যাট কানাডা কোন প্রকার কাগজপত্র জমা দেয়নি।
তাহলে আপনারা বিষয়টির প্রত্যায়ন কিভাবে দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি বুঝবেন। এব্যাপারে ওব্যাট কানাডার পরিচালক ইরফান আজম এর মোবাইল ০১৭৬২৫৫৪০৫০ নাম্বারে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে কাগজপত্র তার দপ্তরে জমা দেওয়া আছে। আপনারা দেখতে চাইলে আমার অফিসে এসে সেগুলো দেখতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থ ছাড়পত্র এফসি-১ আদেশ অমান্য করেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি কৌশলে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।