• শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন |
Headline :
দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি: মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন ডিমলায় তুহিন স্পোর্টিং ক্লাবের প্রীতি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ ও মানববন্ধন জলঢাকায় ইসরাঈলী হামলায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত জলঢাকায় আসক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চিলাহাটিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জলঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা বিএনপি নেতা তুহিনের নির্দেশে তিস্তার ভাঙ্গা বালুর বাধ পরিদর্শনে ডিমলা উপজেলা বিএনপি ৮ম কাব ক্যাম্পুরী ডোমারে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে আড়াই লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর জোড়াবাড়ী ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ

নীলফামারীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওলামালীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ  

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, বার্তা সম্পাদক / ১৭৬ Time View
Update : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

নীলফামারীতে অর্থমন্ত্রালয়ে দপ্তরীপদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশ ওলামালীগের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করা কায়েদ-ই-আযম রাজু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কায়েদ-ই-আযম রাজু নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কির্ত্তণীয়া পাড়া বড়াইবাড়ী এলাকার কহিনুর ইসলাম ছেলে। এ ঘটনায় নীলফামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা জেলার জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কালকৈউট এলাকার মো: আজিজার রহমান (৬৪)।
জানা যায়, ‘অভিযুক্ত কায়েদ-ই-আযম রাজু ৩ লক্ষ টাকা বিনিময়ে আজিজার রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) কে অর্থমন্ত্রালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ৯ জুন  নীলফামারী থেকে  আজিজার রহমান ও তার ছেলে জসিম উদ্দিনকে ঢাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত রাজু। সেখানে ঢাকার একটি ফ্লাটে নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয় এবং চাকরির জন্য নানা ধরনের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন।
এসময় ভুক্তভোগীরা তাদের দেওয়া ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর নেয়। এসময় সেখান থেকে তারা কৌশলে পালিয়ে নীলফামারী চলে আসেন। চাকুরী না পেয়ে গত ১৬ জুন ভুক্তভোগীরা কায়েদ-ই-আযম রাজুর বাড়ি গিয়ে তার কাছে থেকে টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কায়েদ-ই-আযম রাজু, তার মা রিনা বেগম ও তার বাবা কহিনুর ইসলাম ভুক্তভোগীদের উপর চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজিজার রহমান বলেন,’কায়েদ-ই-আযম রাজু আমার ছেলেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাকরি নিয়ে দিবে বলে প্রতারণা করে দুই লাখ টাকা নিয়েছে। ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নেয় তারা। আমরা কৌশলে সেখান থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসি। চাকরি না পেয়ে বাড়িতে এসে রাজুর কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা আমাদের এলোপাথাড়ি মারে। টাকার জন্য আবার তাদের বাড়ি গেলে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে বলে আমি ওলামা লীগের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, ৮-১০ জন মন্ত্রী আমার পকেটে থাকে। কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়ে এখন আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্তর বড় কায়সার-ই-আযম রানু বলেন,’আমার ভাই কার কাছে কি জন্য টাকা নিয়েছে তা তো আমি বলতে পারবো না। সেদিন আমি টাকা নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি আজিজারের কাছে।’
অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ওলামালীগের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করা কায়েদ-ই-আযম রাজু সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে মিটিংয়ে আছেন বলেই ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


More News Of This Category