. .
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমার উপজেলার ০৭ নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নে ওয়ার্ড যুবদল নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে ব্র্যাকের উদ্যোগে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে মাদ্রাসার মোহতামিমকে জোর করে পদত্যাগের প্রতিবাদে স্বারকলিপি প্রদান জলঢাকায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ জলঢাকায় ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  নীলফামারীতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত  ডোমারে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের কমিটি অনুমোদন ডোমারে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের বাসায় বেবী নাজনীন

সম্পাদকীয় – কৃষি খাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়াতে হবে

মাহাদী হাসান মানিক / ১০৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষি খাতে এখন উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ। বর্তমানে চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

তাছাড়া পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাষকৃত মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম ও আলু উৎপাদনে অষ্টম বলে বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়। ফলে কৃষির গতানুগতিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে পুঁজির সরবরাহ বাড়ানো দরকার।

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা স্থায়িত্বশীল কৃষি উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বাড়াতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অনুসারে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের খাদ্য ও পুষ্টি সমস্যার সমাধান করতে হলে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ। গত ৪ বছর এই খাতে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক ৩.২ শতাংশ। এই হার বাড়ানো দরকার।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। গত কয়েক মাস ধরে এ হার ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। গত ১১ মাসে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৬৭ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে ৬/৭ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে।

নতুবা সার্বিক মূল্যস্ফীতির ইস্পিত লক্ষ্য ৬.৫ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে না। তাই খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অবকাঠামো সুবিধার আরো সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। অধিক পরিমাণে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে কৃষককে উৎসাহিত করতে বাড়াতে হবে ভর্তুকির পরিমাণ। টেকসই কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণের গতি বাড়াতে হবে। এবং আরো জোর দিতে হবে গবেষণায়। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ডিম ও দুধের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমাদের রপ্তানি পণ্য পাট, চামড়া ও শাকসবজি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ হ্রাস পাঁচ্ছে। এর প্রতিকার দরকার। এর কারণসমূহ চিহ্নিত করে সমস্যা দূরীকরণের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করা খুবই প্রয়োজন। এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের আওতাবহির্ভূত।

এদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল গঠন করা প্রয়োজন কৃষি খাতের জন্য। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং সবার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে এবং তা টেকসই করতে হলে এই প্রবৃদ্ধির হার আরো গতিশীল করা দরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category