• শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন |
Headline :
দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি: মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন ডিমলায় তুহিন স্পোর্টিং ক্লাবের প্রীতি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ ও মানববন্ধন জলঢাকায় ইসরাঈলী হামলায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত জলঢাকায় আসক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চিলাহাটিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জলঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা বিএনপি নেতা তুহিনের নির্দেশে তিস্তার ভাঙ্গা বালুর বাধ পরিদর্শনে ডিমলা উপজেলা বিএনপি ৮ম কাব ক্যাম্পুরী ডোমারে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে আড়াই লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর জোড়াবাড়ী ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ

উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে মাছের পোনা চাষে লাখোপতি সুমন ইসলাম

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারী / ৪৬ Time View
Update : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ  নীলফামারীর ডোমারে মাছের পোনা চাষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং অনেক পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে এই পোনা মাছ । এরইমধ্যে উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে মাছের পোনা চাষে লাখোপতি হয়েছেন সুমন ইসলাম নামে এক পোনামাছ ব্যবসায়ী।

উপজেলার ০৪ নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ মাস্টার পাড়া গ্রামের পোনা চাষী সুমন ইসলামের বর্তমান প্রধান আয়ের উৎস হলো পোনা মাছ চাষ।
এবিষয়ে পোনা মাছ চাষী সুমন ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান পূর্বে থেকে পোনা মাছ চাষের জন্য পুকুরে বিভিন্ন জাতের পোনা মজুদ করতাম, কেউ কেউ বছরে ১/২ বার রেনু ধানী ছাড়তেন। পোনা অতিরিক্ত হলে মাঝে মধ্যে কিছু বিক্রি করতাম কিন্তু বর্তমানে শার্প এনজিও এর মৎস্য কর্মকর্তা ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৩/৪ প্রকার রেনু/ধানি পুকুরে মজুদ করেছি শুধুমাত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে।
পোনা মাছে লাভের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন ইসলাম বলেন, পোনা মাছ বিক্রি করে আমার পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। আমি ৩৪ শতাংশের একটি পুকুরে ৫০ দিনের সময় অনুপাতে ১৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কার্প জাতীয় পোনামাছ ৮ মন পুকুরে ফেলেছি এবং সেই পোনা মাছ পাইকারদের কাছে ৮২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এখনো যে পরিমান পোনা পুকুরে মজুদ রয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা।এই পুকুর হতে আমার লাভ প্রায় ৮৪ হাজার টাকা।

এবিষয়ে সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট (মৎস্য খাত) মাছ চাষে বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং সদস্য পর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং সম্প্রসারণ করে আসছে। তিনি আরো বলেন- স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভের জন্য গুনগত মানের মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রির কোন বিকল্প নেই।

এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মৎস্য হ্যাচারী রয়েছে। মাছ চাষে ভাল পোনার কোন বিকল্প নেই। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের মাছ চাষীদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। লাভ বেশী হওয়ায় অনেকে মাছের পোনা চাষে ধাবিত হচ্ছেন। তবে আমার জানা মতে শার্প এনজিও মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।


More News Of This Category