রেলের শহর সৈয়দপুর বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়, রেলে ওয়ার্কশপ কারখানা সহ রেলের মালামাল পণ্য পরিবহনের জন্য সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়ক রোডটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও রেলের ভিয়াইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে সড়কটি দখল বাণিজ্যের ভূমিদস্যদের করাল গ্রাসে ধীরে ধীরে চিকন রাস্তায় পরিণত হয়ে গেছে। এক সময়ে এই রাস্তায় নাইট কোচের কাউন্টার গুলির অবস্থান ছিল। ২৯ শে জুন ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক নাইট কোচ পার্কিং করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা শিকার হয়ে প্রাণ যায় কয়েক ব্যক্তির। সেই দুর্ঘটনা ঘটনার পর পরই সৈয়দপুরের প্রায় ৪০ হাজার লোক জড়ো হয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এর নিকট দাবি তুলে ধরে শহীদ ডক্টর জাকিরুল হক সড়কে আর যেন কোন নাইট কোচ ঢুকানো না হয়। প্রবল জন স্রোতের দাবির মুখে জেলা প্রশাসক সৈয়দপুর বাসির দাবিকে মেনে নিয়ে সৈয়দপুর শহরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে নাইট কোর্স ঢুকানো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে গত কয়েকদিন যাবত ঈদের পর হতে বেশ কিছু নাইট কোচ এই রাস্তায় দাপিয়ে দৌড়াদৌড়ি ও চলাচল করছে এতে সাধারণ জনগণ বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলছেন আপনারা লিখছেন না কেন ,পৌরসভার সকল রাস্তায় প্রায় বেহাল দশা এই রাস্তাটির তার উপরে নাইট কোচ, কখন আবার দুর্ঘটনা ঘটবে এটা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয় নাগরকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে টেলিফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে আসেনি তিনি উপরে কথা বলে বিষয়টি জেনে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি খুবই সিনসিটি ভয়াবহ। এমনিতেই সৈয়দপুর শহরে যানজট লেগে থাকে তার উপর এভাবে শহরে নাইট কোচ থাকলে বিষয়টি আরো গভীরভাবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে।