নীলফামারীতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ভাঙচুর- আহত অর্ধশতাধিক
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে অভিভাবক, আইনজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন। রবিবার (৪ আগষ্ট) সকালে জেলা শহরের চৌরঙ্গীমোড় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গণমিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাঁধায় শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া,ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ হাইস্কুল মাঠে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধোর করে।
এসময় আন্দোলনকারীরা চৌরঙ্গীর মোড় হয়ে ডিসির মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা দেওয়া হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে । এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক সহ গুলিবিদ্ধ হয় ১০ জন এবং আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক।
আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পর জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার ও জামায়াত নেতা আলফারুক আব্দুল লতিফের বাড়ী ভাংচুর ও যুবদল নেতা শামীম শাহ আলম তমুর তিনটি মাইক্রোবাস ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ’ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী, আসবাবপত্র সহ সব কিছু ভেঙে চুরমার করে ফেলে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার বলেন, ‘ছাত্ররা আন্দোলন শেষ করে চলে যাওয়ার পর পরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেরা আমার বাড়ী ভাংচুর করে।’