গেল কয়েক দিনের নীরবতা ভেঙে কাজে যোগ দিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে দেশের ৫৯৯টি থানায় কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। বিক্ষুব্ধ জনতার দেওয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের জঞ্জাল পরিষ্কার করে তাদের এ যোগ দেওয়াকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছে। কেউ কেউ থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়েও বরণ করেছেন।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে জানান, সারাদেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৯৭টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫০২টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে, অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে পুলিশ সদস্যরা চাকরি হারাবেন।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে এসব কথা বলেন।
পুলিশ সদস্যদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা আলোচনা করে ১৫ আগস্ট নির্ধারণ করেছি। ওই তারিখের মধ্যে পুলিশ সদস্যরা কাজে না ফিরলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা হবে।
পুলিশের ওপর হামলা খুবই বেদনাদায়ক জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদিও তারা যে কিছুই করেননি, সেটাও বলব না। হাজারও তরুণ মারা গেছেন পুলিশ ও অন্যান্যের গুলিতে। ছাত্র আন্দোলনে পুলিশকে সীমান্তের অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল, যা একদমই ঠিক হয়নি। যারা হুকুমদাতা তাদের দেশে না পেলেও বিদেশ থেকে আনা হবে।
পুলিশের পক্ষে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যম প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আন্দোলনের মিডিয়ার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মিডিয়ার কারণেই পুলিশের এই অবস্থা। দেশের মিডিয়াকে এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। এই সময়কালে যদি কোনো মিডিয়া চাটুকারিতা করে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দেব। যত চেষ্টাই করুক, লাভ হবে না।