নীলফামারীতে বাড়ীতে.ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দুই মামলায় আওয়ামী লীগের ৯২ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা দুটি দায়ের করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার ও তার ভাই এ.কে.এম বদিউল আলম সরকার। এতে অজ্ঞাত আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল আমিন স্বপন, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
এজাহারে বাদী জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশের মতো নীলফামারীতে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। ওই সময় উলি¬খিত ব্যক্তিরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ওপর হামলা চালান। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার বাড়ীতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে তার আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
অপরদিকে তার ভাই এ.কে.এম বদিউল আলম সরকার উল্লেখ করেন,আসামীরা তার দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ১৬লাখ টাকার ক্রীড়া সামগ্রী লুট ও ৪লাখ টাকার অন্যান্য সামগ্রী লুটপাট ও ভাঙ্গচুর করে। এ সময় বাদীদের না পেয়ে তাঁরা স্থান ত্যাগের সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, ‘রোববার (২৫ আগষ্ট) মামলা দুটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় আলমগীর সরকার ৫১ জনের নাম উলে¬খ করে অজ্ঞাত আরও দুইশত ও বদিউল আলম ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শতকে আসামি করা হয়েছে। উভয় মামলায় কিছু আসামির নাম রয়েছে।’
প্রধান কার্যালয়ঃ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
কর্পোরেট অফিসঃ
চৌধুরী ভিলা, বাসস্ট্যান্ড, জলঢাকা, নীলফামারী।
ইমেইলঃ taxashim@gmail.com
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা
Copyright © 2024 AlifNews24.net. All rights reserved.