মাইদুল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সকলের সহমর্মিতায় একটু আর্থিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে হয়তো প্রাণে বেচেঁ থাকার স্বপ্ন দেখতো এক সন্তানের জনক দুটি কিডনি নিস্ক্রিয় হওয়া মুকুল ইসলাম ( ৩২ )।
নিজের সমস্ত আর্থিক ব্যয় করে চিকিৎসা করলেও রোগের কোন প্রতিকার না পেয়ে নিজ গৃহালয়ে ফিরে বিছানায় শুয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছে। অসহায় দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ পিতা মাতা চোঁখের সামনে সন্তানের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে নির্বাক দৃষ্টিতে অশ্রু ঝরাচ্ছেন।
নিরুপায় হয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিকট ছেলের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি৷ কর্মবিহিন রোগাক্রান্ত মুকুল বর্তমানে যে ঔষধ সেবন করবে সে অবস্থাও তার নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মুকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করালে হয়তো সুফল পেতে পারে। কিন্তূ সে সামর্থ নেই অসহায় মুকুলের। মুকুলের এমন অসহায়ত্ব দেখে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম। সত্যিই এ যেন বাংলায় নির্মিত চলচ্চিত্রের দুঃখী সিনেমার কল্প কাহিনী’র বাস্তব চিত্র।
জানা যায়, দরিদ্র অসহায় রোগাক্রান্ত মুকুলের বাড়ি জেলার জলঢাকা পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড উত্তর চেড়েঙ্গা ময়দানের পাড় সংলগ্ন হাজীপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নুর মোহাম্মদ ধোঁদা ( ৭৮ ) এর তৃতীয় পুত্র। বৈবাহিক জীবনে মুকুল ৫ বছর বয়সের এক পুত্র সন্তানের জনক। কপি চায়ের মেশিন কিস্তিতে দিয়ে টাকিটুকি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে কোন মতে দরিদ্র সংসার দিনাতিপাত করছিলেন। এমতাবস্থায় গত ৩ বছর পূর্বে শারীরিক ভাবে অসুস্থতার মাধ্যমে ২ বছর পর জানতে পারে মুকুলের দুটি কিডনি নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। গত ৩ বছর ধরে চিকিৎসা করে কোন প্রতিকার না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ না থাকায় মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। মুকুলের পিতা নুর মোহাম্মদ ধোঁদা অশ্রু সিক্ত নয়নে গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে মোর নিজের একটা কিডনি দিতে চাছুং বাবা। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে ডাক্তার বলেছে চলবে না। ডাক্তার বলেছে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ হবে। কিন্তূ হামার সে সামর্থ নেই। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোটে পামো। এ জন্য আমি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট ছেলের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
অত্র এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম মেম্বার জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে সব চেয়ে দরিদ্র মুকুলের পরিবার। চোঁখের সামনে ছেলেটার এমন মৃত্যু যন্ত্রণা এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই আমি মনে করি সকলেই একটু আর্থিক সহযোগিতায় পারে দরিদ্র রোগাক্রান্ত মুকুলের জীবন রক্ষা করতে। পৌরসভার ৭ং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল মোশফেকুর রহমান বলেন, আমরা এলাকাবাসী উদ্দ্যেগ নিয়েছি আর্থিক সহযোগিতার। পাশাপাশি সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি অসহায় মুকুলের পাসে একটু দাঁড়াতে। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ রোগিকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস কর্তৃক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পূর্ণাবিত্তি দরখাস্ত আহবানের মাধ্যমে রোগী আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করলে নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সহ নগদ আর্থিক সহায়তা পাওয়া সুযোগ আছে। মুকুলের
জনতা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ ০১০০১৯৩০০১৫০০।
এবং বিকাশ ও নগদ নম্বরঃ ০১৭৪৮১৫১৪৫৯