. .
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমার উপজেলার ০৭ নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নে ওয়ার্ড যুবদল নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে ব্র্যাকের উদ্যোগে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে মাদ্রাসার মোহতামিমকে জোর করে পদত্যাগের প্রতিবাদে স্বারকলিপি প্রদান জলঢাকায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ জলঢাকায় ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  নীলফামারীতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত  ডোমারে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের কমিটি অনুমোদন ডোমারে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের বাসায় বেবী নাজনীন

৬ মাসে কোরআনের হাফেজ মুনতাছির

পিএনএস এজেন্সি / ৫১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ বছর বয়সী শিশু মো.মুনতাছির আলম মাত্র ছয় মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে মুনতাছির।

সে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ্ বিভাগের ছাত্র এবং মুনতাছির উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো.শাহ আলম- রোকসানা আক্তার দম্পতির ছেলে।

জানা যায়, ছেলে জন্মের আগেই মায়ের নিয়ত ছিল ছেলে হলে তাকে কোরআনে হাফেজ বানাবেন। এতে মত ছিল বাবারও। যেমন নিয়ত,তেমন কাজ। এরপর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাবা ও মায়ের ইচ্ছায় ছেলে মুনতাছিরকে বাড়ির পাশে দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। পরিবারের সবার মধ্যে কথাবর্তা,আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবা সহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে। মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা বলছে, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছেলেকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাঁদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্ত করে মুনতাছির। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।

শিশু হাফেজ মো.মুনতাছির আলম বলেন,মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায়া আমি ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করি। সবার কাছে দোয়া চায় আমি যেন দেশ বরেণ্য হাফেজে আলেম হতে পারি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাছের বলেন, শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয় এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন শিশু হাফেজ মুনতাছিরের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। সমাজের মানুষ এ থেকে আরো বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

মুনতাছিরের বাবা শাহ আলম বলেন, আমার ছেলে জন্ম হওয়ার আগেই তার মায়ের নিয়ত ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। আল্লাহর রহমতে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চায় আমার ছেলে যেন দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে পারে।

দারুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের শুরুর হিফজ্ বিভাগে ভর্তি হয়ে সে ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করে। এতে তার পিতা-মাতার আন্তরিকতা সহযোগিতা এবং ওস্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগিতা ছিল। ২০১৮ সালে মাদরাসায় হেফজ বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে ৪৪জন ছাত্র হিফজু সম্পন্ন করে। বর্তমানে হিফজু বিভাগে ৬৪জন ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। ভবিষ্যতে সে দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে চায়। ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বাবা-মা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category