বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকারের শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার মসনদকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আমরা ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ আছি, আমরা এমন এক বাংলাদেশ বিনির্মান করবো যে বাংলাদেশের সকল সিদ্ধান নেবে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের রাষ্টের বিষয়ে সকল ধরণের সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশের জনগণ , সেখানে অন্য অন্য কোন রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণ অভুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারে সাথে সাক্ষাৎ এবং দূর্নীতি, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র- নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তারিকুল ইসলাম আরও বলেন,‘আমরা একটা বিপ্লব করেছি নির্বাচন দিয়ে কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাদের ভাইয়েরা তাদের তাজা রক্ত একটা নির্বাচনের জন্য কিন্তু ঢেলে দেয়নি। তারা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে এমন এক রাষ্ট্র গঠনের জন্য, যে রাষ্ট্রে আর কাউকে মরতে হবে না। যে রাষ্ট্রে বীর মুগ্ধরা আর মরবে না। কোন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে আর আসতে হবে না। কোন আবু সাঈদকে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে হবে না। রাজ পথে তাদের শোকজ্ঞাপনে অবতীর্ণ হতে হবে না। আগে এমন এক রাষ্ট্র পূর্ণগঠন করতে হবে।’
তারিকুল বলেন,’আমরা এমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে রাষ্ট্রই ভাববে রাষ্ট্রের কথা, রাষ্ট্রই ভাববে জনগণের অধিকারের কথা। রাষ্ট্র জনগণকে যে অধিকার দেওয়ার কথা সে অধিকারকে তারা কখনো অনুদান ভাববে না এই রাষ্ট্র বিনির্মান করার জন্য আমাদের শহীদেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন।’
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্ততা দেন সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন, রকিব মাসুদ, সুমন বসুনিয়া, সজীব আহমেদ, নিসু আলী সুহাস, জহির রায়হান, এসআই শাহিন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সালাম বাবলা প্রমুখ। শেষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা নীলফামারী প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
#