• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন |
Headline :
জলঢাকায় সোয়েব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১শত জনকে খাবার বিতরন- জলঢাকায় স্কুল কক্ষে পাওয়া গেল ঈদ উল আযহায় দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের চাউল “সবার পাঠশালা”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদীয় প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী নীলফামারীতে শুরু হলো মাসব্যাপী গ্রামীণ কুটির শিল্প মেলা নীলফামারীর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন ট্রাক থেকে ৫.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চালক গ্রেফতার জলঢাকায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সেমিনার অনুষ্ঠিত জলঢাকায় রাস্তায় অবৈধ দেয়াল নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন এলাকাবাসী  নীলফামারী পৌরসভায় ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

কিশোরগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

শাহীন আহমেদ, নীলফামারী(বিশেষ প্রতিনিধি)ঃ / ১৩৭ Time View
Update : শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেদওয়ানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি, অফিস- সহকারী ও কর্মচারীদের যোগসাজসে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজ না করে আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টাকা  আত্মসাত করেন। এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টিউশন ফির অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য ও স্বাক্ষর জাল করে সনদ প্রদান করে চাকরি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন,‘কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সরকার কর্তৃক টিউশন ফির এক লক্ষ আটান্ন হাজার টাকা সকল শিক্ষকের মাঝে আলোচনা সাপেক্ষে বিতরণ করার কথা থাকলেও তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা নাম মাত্র বিতরণ করে বাকি টাকা আত্মসাত করেন।’
প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী বাবু ইসলাম বলেন,‘অধ্যক্ষ রেদওয়ানুর রহমান অফিস সহকারী মো: মজিদুল হককে গত ২০০৭ সালের ২ মার্চ হাতের লেখা ৮ম শ্রেনী পাশ সনদ কিছু অর্থের বিনিময়ে কালিকাপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে সনদ প্রদান করে। কিন্তু মো: আব্দুল মালেক, পিতা: মো: আলিমমুদ্দীন নামে কোন ছাত্র কালিকাপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছিল না। নিয়োগকৃত নৈশ্য প্রহরী মো: রাকিবুল ইসলামের জেএসসির রেজিস্ট্রেশনে জন্ম তারিখ ২০০৭ সালের ২১ আগষ্ট থাকলেও ভোটার আইডি কার্ডে তার জন্ম তারিখ ২০০৪ সালের ৩ মে। যেখানে বয়সের বয়সে গড়মিল থাকা সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ প্রদান করেন। এমনকি অফিস সহায়ক মনিরুজ্জামান মাসুম কে অন্য আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তির সার্টিফিকেট ও এনআইডি দিয়ে চাকরি প্রদান করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন,‘ অধ্যক্ষ রেদওয়ানুর রহমান আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ নয় জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেন এবং গর্ভনিং বডি গঠনের লক্ষ্যে আজীবন দাতা সদস্যের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা এবং এককালীন দাতা সদস্যের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহন করে। তা দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পূর্ণ না করে টাকা আত্মসাৎ করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেদওয়ানুর রহমানের সাথে কথা বলতে একধিকবার ফোন দিয়ে এবং খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সারা পাওয়া যায় নাই। জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা  নির্বাহী অফিসার ও কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি  মৌসুমি হক বলেন, অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


More News Of This Category