মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ “জমিয়তের দাওয়াত, জমিয়তের পায়গাম, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নেযাম” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সকল প্রকার বৈষম্য দুর করে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আয়োজনে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ৩০শে সেপ্টেম্বর বিকেল চারটায় ডোমার বাজারস্ত বাটার মোড়ে এই গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী জেলা জমিয়তের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন রিয়াজীর সভাপতিত্বে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দি।
বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ডোমার উপজেলা শাখার আয়োজনে ও বাংলাদেশ যুব জমিয়ত রংপুর বিভাগীয় সদস্য সচিব নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী নাসীরুদ্দীন খান প্রমুখ।
গণ সমাবেশের প্রধান অতিথি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, বিগত ১৬ থেকে ১৭ বছর আমরা এই ফ্যাসিবাদ সৈরাচার সরকারের হাতে নির্যাতিত ছিলাম, সঠিক বিচার পাওয়ার আমাদের কোন আশা ছিলনা। ২০২১ সালে আমরা আন্দোলন করলাম আমাদের গ্রেফতার করা হলো। ১ম রোজার তারাবীর নামাজরত অবস্থায় ডিবি এসে আমাকে নিয়ে গেল, ২৬ দিন আমি রিমান্ডে ছিলাম। শাপলা চত্বরে আমাদের অনেক আলেম ওলামাদের মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এখন এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে কোন বৈষম্য থাকবেনা, সকলে স্বাধীন ভাবে বসবাস করবে, ১০৫ বছরের দল আমাদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ৩রা আগষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির নের্তৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে সেদিন আমরা শাহাবাগে ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছিলাম সেখানে আমাদের দাবি ছিল দফা এক দাবি এক সৈরাচার খুনি হাসিনার পদত্যাগ। আমরা কামিয়াবি হয়েছিলাম ৫ই আগষ্ট গন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী সৈরাচার খুনি হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরিশেষে তিনি বর্তমান অন্তবর্তী কালিন সরকারকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।