শাহজাহান সিরাজ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুজা মন্ডবে আনসার সদস্য বাছাইয়ের নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সুপারিশ প্রাপ্ত, অর্থ লেনদেন ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই কিছু ব্যক্তিকে পুজা মন্ডবের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব আনসার তিনদিন লাগাতার দায়িত্ব পালন করবেন। এতে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকরা।
জানা গেছে – উপজেলার এবারে ১২০টি পূজা মন্ডবে দূর্গাপূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ৭৩৮ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ আনসার ৪৯৮জন ও মহিলা আনসার ২৪০জন । ঝুকিপূর্ণ ৯টি পূজা মন্ডবে ৯ জন ও সাধারণ মন্ডবগুলোতে ৪ জন করে পুরুষ ও ২জন করে মহিলা আনসার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন্। অভিযোগ উঠেছে কোন নিযনকানুন ও শর্তাবলীর তোয়াক্কা না করে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জন শারিরীকভাবে দুর্বল ও অক্ষম আনসার নিয়োগ হয়েছে । এছাড়াও যাদের আনসার কাজে কোন প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নেই তাদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ করে নগদ অর্থ নিয়ে নামমাত্র বাছাইয়ের নাম করে তালিকা প্রনয়ণ করেছেন। নাম প্রকাশ হলে ক্ষতির সম্মখীন হবেন এমন ১০ থেকে ১৫ আনসার টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভ‚পতি মিত্র রায় বলেন- এ ধরনের অভিজ্ঞতাহীন আনসার নিরাপত্তাতো দিতেই পারবে না বরং নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোসা. মায়া বেগম এসব অভিয়োগ অস্বীকার করে বলেন যাচাই বাছাইয়ের কাজ আমার জেলা অফিসার করেছে।এতে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।