দলীয় নানা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুখরিত হয়ে উঠেছে নীলফামারী জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের সুযোগ্য নেতৃত্বে দলের ক্রান্তিকালে সকল আন্দোলন সংগ্রাম সফলভাবে পালন হয়েছে। নীলফামারীর রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে সম্মুখ সারীতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে এ দুই নেতা কর্মীবান্ধব হওয়ায় তাদের তৃণমূলে রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা। যার ফলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একটাই চাওয়া দুঃসময়ে একনিষ্ঠভাবে দলের জন্য যারা কাজ করেছে সুসময়ে তাদেরকেই যেনো মূল্যায়ন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী শাসনামলে বিএনপির দুঃসময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে থেকেছেন, গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরা। কেউবা আবার সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে চলেছেন। কিন্তু আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা আবারও খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজেদের বড় নেতা দাবি করছেন। যারা বিগত সময়ে দলকে সংগঠিত করেছে, কর্মীদের মূল্যায়ন করেছে বিপদে-আপদে পাশে ছিল তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের দেখা যায় নি, আগামিতে দলের সুসময়ে কোন হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীকে দলীয় কোনো পদে যাতে দেখা না যায় সে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে দাবি জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন,‘রাজপথ কোন কর্মীর সাথে বেঈমানী করে না। বিগত ১৬টি বছর হামলা-মামলা, আন্দোলন-সংগ্রামে যে কর্মীরা আমাদের সঙ্গে থেকে দলের প্রতিটা কর্মসূচি সফল করেছে, ঝুঁকি জেনেও পিছপা হয়নি তারাই সুসময়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিবে। আগে আমাদের সরকার পতনের আন্দোলনে যেখানে ১০০ নেতা-কর্মী দেখা যেতো না, সেখানে এখন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। আমরা সজাগ রয়েছি দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিল সুময়ে তারাই থাকবে। কোনো অনুপ্রবেশকারীকে দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা স্বৈরচারী সরকারের আমল থেক্বে সব আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। দলকে ঢেলে সাজাতে হবে।যোগ্য, সৎ ও দলের অনুগত কর্মীদের মাধ্যমে দল পরিচালিত হবে। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। বিএনপি জনগনের দল। নীলফামারী বিএনপির ঘাঁটি সেটা আগামী নির্বাচনে আবারও প্রমাণ হবে।’
তবে বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি জোটবদ্ধ থাকায় নীলফামারীতে ধানের শীষের দলীয় প্রতিক দেওয়া হয় নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীতে বিএনপির দলীয় প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।