নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির নামে কৃষকের আবাদি জমি দখলের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার শুটিবাড়ি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন। আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইয়াসিন আলী বসুনিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন বলেন, ‘জনগণের সামনে বিএনপি ও আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসররা নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে তাদের দোসররা ইউনিয়নের গরিব অসহায় কৃষকদের জমি দখল করে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমির প্রকৃত মালিকদের জমি দখল করে নেয়। জমিতে পা ফেললে হত্যা করবে এমন হুমকি দেয়। ওই সময় কৃষকেরা তাদের অত্যাচারের ভয়ে অসহায় হয়ে পড়ে ছিল। গত ৫আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে তাদের দোসররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতঅবস্থায় অসহায় দরিদ্র কৃষকেরা আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করে তাদের জমি উদ্ধার করে সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছু কৃষকের জমির কাগজপত্র দেখে শুনে পর্যালোচনা করে সীমানা নির্ধারণে সহযোগিতা করেছি। আমরা এর থেকে বেশি কিছু করি নি। প্রকৃত জমির মালিকেরাই তাদের জমি পুনরায় ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু দোসর যেমন কৃষক লীগের সভাপতি আবু তাহের, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম সহ আরও বেশ কিছু লোকজন আমাদের হেয় করার জন্য নানা ভাবে মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছে। আর ওই দোসরদের গুটি কয়েক সাংবাদিক আমাদের জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম বলেন,’চড় খড়িবাড়ি এলাকায় আমার ৯ বিঘা জমি রয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার ভয়ভীতির কারণে আমি নিজের জমিতে যেতে পারি নি। গত ৫ আগষ্টের পর ওই আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে আমি নিজের জমিতে যেতে সক্ষম হই। চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আমার জমির কাগজপত্র দেখাই। তারা কাগজপত্র দেখে আমার জমির সীমানা নির্ধারণ করতে সহযোগিতা করে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হোসেন, মো. শাহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে ভয়ভীতির শিকার অসহায় কৃষকেরা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।