মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ গত ০৯ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি বগিতে চিলাহাটির এক যাত্রী জুলি ফারহানার মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
সেই মোবাইল ফোন রক্ষা করতে গিয়ে ছিনতাইকারী পিছনে ছুটতে গেলে ছিনতাইকারীর অপর সদস্য জুলির গলার ওড়না টান দিয়ে তাকে ট্রেন থেকে মাটিতে ফেলে দেয় এতে করে জুলি গুরুতর আহত হয়।
মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ২ টা ৫০ মিনিটে পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে।
পার্বতীপুর স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্য ট্রেনটি ছাড়ার পরপরই ছিনতাইকারীর একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল যাত্রী জুলির হাত থেকে তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেনে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক জুলি ছিনতাইকারীদের পিছনে পিছনে ধাওয়া করে, এসময় ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্য জুলির পিছনে ছুটতে থাকে একসময় সে জুলির পরনের গলায় পেচানো ওড়না ধরে টান মারে এতে জুলি ট্রেন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। সেই ট্রেনে থাকা জুলির অল্প বয়সের দুই যমজ ছেলে সন্তান ট্রেনের শিকল টেনে ট্রেনটিকে থামানোর জন্য ট্রেনের অন্য যাত্রীদের অনুরোধ করেতে থাকে কিন্তু কেহই সেই অবুঝ বাচ্চা দুটোর কথায় কর্ণপাত করেনি এবং ট্রেনটি থামানোর জন্য সহযোগিতা করেননি।
এসময় পিছনের বগিতে থাকা জয় নামক একজন ট্রেন ক্লিনার বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রেনের শিকল টেনে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয় এবং নিচে পড়ে থাকা জুলিকে উদ্ধার করে চিলাহাটি নিয়ে আসে।
এবিষয়ে জুলির পরিবার তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন ট্রেনের যাত্রী সেবায় নিয়োজিত জিআরপি, আরএনবি গার্ড, টিটি, এ্যাটেনডেন্ট থাকার পরেও এতোবড় একটা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো তাদের কারও কোন রকম ভূমিকা দেখলাম না, এখন আমাদের প্রশ্ন তাহলে কি সেইসব স্টাফদের ছত্রছায়ায় ছিনতাইকারীর সংঘবদ্ধ চক্রটি এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আমরা জুলির পরিবারের পক্ষ থেকে সেই সময় কর্মরত স্টাফদের দৃষ্টান্তমূলক উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বর্তমানে জুলির উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।