• শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন |
Headline :
দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি: মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন ডিমলায় তুহিন স্পোর্টিং ক্লাবের প্রীতি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ ও মানববন্ধন জলঢাকায় ইসরাঈলী হামলায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত জলঢাকায় আসক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চিলাহাটিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জলঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা বিএনপি নেতা তুহিনের নির্দেশে তিস্তার ভাঙ্গা বালুর বাধ পরিদর্শনে ডিমলা উপজেলা বিএনপি ৮ম কাব ক্যাম্পুরী ডোমারে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে আড়াই লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর জোড়াবাড়ী ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ

গৃহবধূ মুক্তার লাশ উদ্ধার,  স্বামী রানা গ্রেফতার

জয়নাল আবেদীন হিরো, স্টাফ রির্পোটার : / ১১৭ Time View
Update : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

জয়নাল আবেদীন হিরো,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিউটি পার্লার কর্মী গৃহবধূ মুক্তার (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮ টায় স্বামীর বাড়ির নিজ ঘর থেকে  লাশ উদ্ধার ও ঘাতক স্বামী রানা (২৫) কে আটক করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মুক্তা সৈয়দপুর শহরের কুন্দল পশ্চিম পাড়ার জাহেদা বেগমের মেয়ে। আর রানা শহরের কাজীপাড়ার বাবলুর ছেলে।

জানা যায়, সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের গ্রীণ বিউটি পার্লারের মেকাপকর্মী মুক্তা পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছিল রানা (২৫) কে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী রানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে মুক্তার ওপর।

জানতে পারে রানা ও তার ভাই রনি (২৭) মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী। এর প্রতিবাদ করায় মূলতঃ বিরোধ সৃষ্টি হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে মুক্তা ৫ দিন পরই মায়ের বাড়িতে চলে যায় এবং এতদিন সেখানেই ছিল।

পরিবারের লোকজন জানায়, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) উভয় পরিবারের সমঝোতায় ফিরে আসে স্বামীর বাড়িতে। মু্ক্তা যেতে রাজি না থাকলেও মা ও নানা জামাল উদ্দিনের অনুরোধে রাজি হয় যেতে।

ওইদিন ভালো ভাবে কাটলেও শনিবার দিবাগত রাতে আবারও নির্যাতন শুরু করে রানা। এতে মুক্তার শ্বাশুড়ি রুমি বেগম (ঝিলপি) বউমাকে নিজের ঘরে এনে রাখে। কিন্তু রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে রানা অনেকটা জোর করেই মুক্তাকে নিজ ঘরে নিয়ে আসে।
ঝিলপি জানান, ভোর রাতের দিকে ছেলে রানা আমার ঘরের দরজায় নক করে বলে আমি তোর বউকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছি। এখন তোদের সবাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। এতে আমরা তাৎক্ষণিক ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি মুক্তার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।

এমতাবস্থায় ছেলেকে কৌশলে তার ঘরে ঠেলে দিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেই। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকাল ৬ টায় পুলিশ এসে সুরতহাল তদন্ত করে লাশ উদ্ধার করে এবং রানাকে আটক করে নিয়ে যায়।

মৃত মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ওরা আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। স্বামী হারিয়ে অনেক কষ্টে মেয়েকে মানুষ করেছি। অত্যন্ত আশা নিয়ে তাকে বিয়ে দিলাম। অথচ মাত ১৬ দিনেই তার লাশ মিললো স্বামীর বাড়ি থেকে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্বামী রানাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মৃত গৃহবধূ মুক্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন, স্বামী রানা, ভাসুর রনী, শ্বাশুড়ি রুমি বেগম (ঝিলপি) ও রানার চাচা।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে এবং স্বামী রানাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেয়া হবে।


More News Of This Category