নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ আদমজী পাট ক্রয় অবস্থিত ছিলো। যার এসএ খতিয়ান ৩৪৩৬, দাগ ৭৭৫৪, ৭৭৫৬ মোট জমি ৩ একর ৪০ শতক। উক্ত জমিটি স্থানীয় পৌরসভার নিজস্ব মার্কেট না থাকার পরেও তদকালীন পাট মন্ত্রণালয়ের দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তারা ২২/১/২০০৩ সালে দলিল নং ২৬৮ মূলে মাত্র ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় জমিটি শামসুল হক ভুঁইয়ার কাছে উক্ত গুদামে থাকা কোটি টাকার মেশিনপত্রসহ পানির দামে বিক্রি করে দেয়।
১০/৯/২০০৪ সালে জনাব শাজাহান সিরাজ তদকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আধুনিক সুপার মার্কেট, মসজিদ ও ক্লিনিক এর নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২৫/১২/২০০৬ তারিখে উক্ত মার্কেট উদ্বোধন করেন খন্দকার মো: মোখলেসুর রহমান, জেলা প্রশাসক নীলফামারী। উক্ত মার্কেট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন বেশীরভাগ আবাসন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটে মসজিদ ও ক্লিনিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালীন ঘোষনা থাকলেও সেখানে নেই কোন মসজিদ বা ক্লিনিক। পজিসন বিক্রির দালিল রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে তারা ১৫০০ টি দোকান হস্তান্তরে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে পজিসন বিক্রির দলিল সম্পাদন করে প্রায় ৮০ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিয়েছে শামসুল হক ভ’ঁইয়া বলে অভিযোগ করেন উক্ত মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী আরো অভিযোগ করে বলেন তারা ৩০/৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে দোকান কিনলেও তাদের এখন পর্যন্ত দোকানগুলি তাদের নামে রেজিষ্ট্রি দলিল করে দেওয়া হয় নাই। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি এমনকি বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার তথ্য দিতেও অস্বীকৃতি জানান এবং বেশী বাড়াবাড়ি করলে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে ব্যাবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখেন। ব্যাবসায়ীরা আরো অভিযোগ করেন মার্কেটে লিফট দেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি লিফট লাগানো হয়নি। তাছাড়াও স্থানীয় পৌরসভায় জমাকৃত নকশা বহির্ভূতভাবে তাদের বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে বলে তারা জানান।
সাধারন জনগনের গাড়ি পার্কিং এর স্থানে সাইকেল গ্যারেজ ভাড়া দিয়ে মূল সড়কে যানজটসৃষ্টিসহ মার্কেটে আগত সাধারন জনগনের গাড়ি মোটর সাইকেল রাখার জায়গাটিতে শেড বানিয়েও তারা ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন এতে মার্কেটে আগত ক্রেতাদের গাড়ি ও মোটর সাইকেল পার্কিং বাবদ বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মার্কেট অগ্নি নির্বাপনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে শামসুল হক র্ভুঁইয়ার মার্কেট দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুলজার আহমেদ বলেন ক্রেতাদের দলিল আমরা করে দেইনি, জমির মালিকানা শামসুল হক ভূঁইয়ার, আমরা শুধুমাত্র ষ্ট্যাম্প এর মাধ্যমে দোকানের পজিসন হস্তান্তর করেছি। এতে উক্ত ১৫০০ দোকানের পজেসন হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতার বিপুল অংকের টাকা লেনদেন হলেও সরকারের রাজস্ব আয়কর এবং ভ্যাট কানাকড়িও আদায় হলোনা। এই জমিটি স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়ত্বে নিয়ে স্থানীয় পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করলে পৌরসভার আয় বর্ধনসহ নাগরিক সেবা বৃদ্ধি পেত, এব্যাপারে একাধিক নগরবিদ মনে করেন সরকারের উচিত তদন্তপূর্বক পানির দামে সরকারী জমি বিক্রির বিষয়টি আমলে নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
কর্পোরেট অফিসঃ
চৌধুরী ভিলা, বাসস্ট্যান্ড, জলঢাকা, নীলফামারী।
ইমেইলঃ taxashim@gmail.com
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা
Copyright © 2025 AlifNews24.net. All rights reserved.