• বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন |
Headline :
জলঢাকা সরকারি কলেজে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর হোসেনকে শুভেচ্ছা ডোমারে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের ভারতে দেওয়া নির্যাতনের বিবৃতি সত্য নয় ডোমারে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনের মধ্য ডোমারে বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত জলঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ জলঢাকার ধর্মপালে স্থানীয়দের অসচেতনতায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা, পথচারীদের ভোগান্তি চরমে  সারাদেশে একসাথে জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান

জলঢাকায় ১৯ মাস ধরে প্রতিষ্টানে না গিয়ে বেতন তুলছেন আয়া হাবীবা

রাশেদুজ্জামান সুমন / ৯২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

নীলফামারী জলঢাকায় অদৃশ্য শক্তির জোরে চাকুরীর শুরু থেকে এখন পযর্ন্ত স্কুলে না গিয়ে সরকারি বেতন তুলে আয়েশি সংসারজীবন কাটাচ্ছেন হাবীবা বেগম নামের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব‍্যাবস্হা না নিয়ে অসুস্থতা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এতে করে প্রতিষ্টানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকায় বাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ২০২৩ সালে ১২ই জুন আয়া পদে বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন হাবীবা বেগম। সেই থেকে বুধবার পযর্ন্ত তিনি একবারই চাকুরীর মিষ্টি খাওয়ার জন্য ওই প্রতিষ্টানে যান। বাকী সময় তিনি বাড়িতে সংসারের কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো জবাবদিহি ছাড়াই। এহেন কর্মকাণ্ডকের জন্য প্রধান শিক্ষক বা ম‍্যানেজিং কমিটি থেকে কোনো নোটিশও তার কাছে আসেনি। হাবীবার বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে লক্ষ্য করেন যে তিনি আর সব সুস্থ মানুষের মতই জীবন যাপন করছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ওঠানে ঝাড়ু দিচ্ছেন, অন্য সব কাজ করছেন। বিদ‍্যালয়ের অনুপস্থিতিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অপারেশনের কথা বলে, বলেন যে আমি মাঝে মধ্যে যাই। ওখানে অনেক মহিলা  আছে আমার তো স্কুলে কোনো কাজ নেই। আপনারা যেহুতু বলছেন আমি কাল থেকে আবার স্কুলে যাবো। হাবীবা স্কুলে না আসায় শিক্ষক, কর্মচারিদের বিভিন্ন সমস্যার সমূক্ষীন হতে হয়। নাম  প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান হাবীবা না থাকায় বাইরে থেকে কোন গেষ্ট আসলে সন্মান করতে পারিনা। অথচ তিনি বাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষককে ম‍্যানেজ করে  বেতন নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম জানান হাবীবা অসুস্থ বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না তাই আসে না। বিষয়টি সবাই জানে। তার ছুটির জন্য কোনো আবেদন বা ডাক্তারের কাগজপত্র নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব‍্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।


More News Of This Category