• শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন |
Headline :
জলঢাকায় স্কুল কক্ষে পাওয়া গেল ঈদ উল আযহায় দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের চাউল “সবার পাঠশালা”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদীয় প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী নীলফামারীতে শুরু হলো মাসব্যাপী গ্রামীণ কুটির শিল্প মেলা নীলফামারীর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন ট্রাক থেকে ৫.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চালক গ্রেফতার জলঢাকায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সেমিনার অনুষ্ঠিত জলঢাকায় রাস্তায় অবৈধ দেয়াল নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন এলাকাবাসী  নীলফামারী পৌরসভায় ভিজিএফ’র চাল বিতরণ চিলাহাটির ঐতিহ্যবাহী সব্দিগঞ্জ ঈদগাঁহ ময়দানের দেয়াল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

উদ্বোধনের দুই বছর না পেরোতেই নীলফামারী জেলা মডেল মসজিদের দেয়ালে ফাটল

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন: বার্তা সম্পাদক / ৩৪২ Time View
Update : শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

নীলফামারী জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হস্তান্তরের দুই বছর না যেতেই দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মসজিদের বিভিন্ন অংশে ভেতর ও বাইরের দেয়ালে ফাটল দেখা মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে মুসল্লীরা। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রকৌশলীদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এ ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদের চারদিকের বিভিন্ন দেয়ালে চোখ মেললেই দেখা মিলবে অসংখ্য ফাটল। মসজিদের প্রধান গম্বুজের চারদিকে ও ছাদের বাউন্ডারি দেয়ালে অসংখ্য ফাটলের ক্ষত দেখা যায়। এসব ফাটল ঢাকতে দেওয়া হয়েছে রঙের প্রলেপ। কিন্তু তবুও দৃশ্যমান এসব ফাটল।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ শতক জমির উপর ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের অধীনে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল মডেল মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ তৃতীয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মডেল মসজিদটির উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় মহসীন আলী লেবু বলেন,‘মসজিদ তৈরির বছর না যেতেই বিভিন্ন যায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মসজিদের গম্বুজেও ফাটল দেখা দিয়েছে। মসজিদের রং উঠে গেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘুষ খেয়ে নরমাল কাজ করছে।’ উজ্জল হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন,‘এতো টাকা দিয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে যদি এই কয়দিনে ফাটল দেখা দেয়। তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কি হবে।’ মসজিদের মুসল্লি মোকাব্বের হোসেন বলেন,‘ আমাদের মডেল মসজিদে যে কার্যক্রসগুলো হয়েছে। প্রকৌশলীদের অনিয়মের কারণে-দুর্নীতির কারণে এখানকার অনেক যায়গায় ফাটল ধরেছে। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আমরা প্রতিদিন নামায আদায় করতেছি। যাদের দুর্নীতির কারণে মসজিদের এমন অবস্থা হয়েছে আমরা তাদের শাস্তির দাবি জানাই।’
জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার রাকিবুল ইসলাম বলেন,‘ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের দুর্নীতির কারণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যেই মসজিদের মূল গম্বুজ ও দেয়ালগুলোতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে কখন কি ঘটে যায় তা নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। যেরকম উপাদান দিয়ে কাজ করার কথা সেভাবে কাজ হয় নি। আমরা তাদের এ বিষয়ে জানালে তারা রং করে ফাটলগুলো ঢাকানোর চেষ্টা করেন।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম বলেন,‘ আমি এখানে জয়েন করার পর মডেল মসজিদের যেসকল ত্রুটি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহদয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ করার কথা অস্বীকার করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাকিউজ্জামান বলেন,‘মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহার করেই মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো দেয়ালে ফাটলের দেখা যায় নি।’
#


More News Of This Category