• শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন |
Headline :
নীলফামারীতে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল মহান শহিদ দিবসে জলঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জলঢাকায় ব্র্যাকের উদ্যোগে নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্তকরণ কর্মশালা জলঢাকায় শিক্ষক অনুপস্থিত থাকা সেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার   জনগনের দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন সুফল বয়ে আনবে না – সৈয়দপুরে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব  এমরান সালেহ জলঢাকায় ছাত্রদলের ফরম বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন  জলঢাকায় স্ত্রীকে পিটিয়ে স্বামী’র আত্মহত্যা জলঢাকায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ জলঢাকায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৬ অনুষ্ঠিত নীলফামারী জেলার শ্রেষ্ঠ থানার স্বীকৃতি নিলেন জলঢাকার ওসি সাজ্জাদ হোসেন

সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের কোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি:সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে অবৈধ দোকান বিক্রি

শাহীন আহমেদ,বিশেষ প্রতিবেদকঃ / ৪৫ Time View
Update : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অন্যতম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট’ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দোকানের পজিশন বিক্রি করায় কোটি টাকার অধিক ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিয়েছে মার্কেটের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এস.আর ট্রেডিং।
জানা যায়, ২০০৩ সালের ২২ জানুয়ারি ওই মার্কেটের ৩ একর ৪০ শতক জমি ১কোটি ৪০লাখ এস.আর ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল হক ভূঁইয়ার কাছে বিক্রি করা হয়। অথচ এটি ছিল সরকারি জমি এবং সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল এটি স্থানীয় পৌরসভা অথবা সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। ২০০৪ সালে তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ এখানে মসজিদ ও ক্লিনিক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর মার্কেটটি উদ্বোধন হলেও, সেখানে মসজিদ বা ক্লিনিক স্থাপন করা হয় নি। উল্টো এর স্থলে প্রায় দেড় হাজার দোকান তৈরি করে বিক্রি করা হয়। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এসব দোকান বিক্রি করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি দোকান প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে দোকান কিনলেও, এখনো তাদের নামে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। পজিশন বিক্রির জন্য সরকারের আইন অনুসারে দলিল রেজিস্ট্রি না করে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে দলিল লিখে দোকানগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। অপরদিকে একই পজিশন যখন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে দেওয়া হয়েছে, তখন সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল তৈরি করে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে তা করা হয় নি। যার মাধ্যমে কোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অপরদিকে প্রতারিত হয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ‘এস.আর ট্রেডিং’ নিজেকে রেজিষ্ট্রার্ড কোম্পানী দাবি করলেও সেটি ভূয়া বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রকৃতপক্ষে এই কোম্পানীর কোনো রেজিষ্ট্রেশন নেই।
তারা  আরও জানান, কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সঠিক উত্তর মেলেনি। বরং, তাদেরকে রাজনৈতিক চাপ দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয়েছে। মার্কেটে যেখানে লিফট স্থাপন করার কথা থাকলেও তা আজও নির্মিত হয়নি। উল্টোপৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই বিল্ডিংটি দিনের পর দিন আরও প্রসারিত করা হচ্ছে। সাইকেল গ্যারেজ ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জায়গা সংকুচিত করা হয়েছে, যার ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি, মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার অভাব এবং অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে মার্কেটের দেখভালকারী ব্যক্তি গুলজার আহমেদ এর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। এস.আর ট্রেডিং এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ভূইয়া ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল হক ভূইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ফোন নম্বর চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category