মাইদুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারী জলঢাকায় মাটি খনন কালে পুরাতন বিষ্ণু মূর্তির সন্ধান মিলেছে।
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ব্যক্তি বিষ্ণু মূর্তিটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে তা এক নজর দেখার জন্য উৎশুক মানুষের সমাগম ঘটে।
আজ ৫ই মার্চ বুধবার বিকালে পুলিশ বিষ্ণু মূর্তিটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। উপজেলা কৈমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলি ড্রাইভার খায়রুল ইসলাম (২৮) জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে ভ্যাকু দ্বারা মাটি খনন করে আমার ট্রলি যোগে নিয়ে গিয়ে ফেলার সময় কাঁদামাটি যুক্ত পাথরের ন্যায় শব্দ হয়। পরে গাড়ি থেকে নেমে মাটিযুক্ত মূর্তিময় শক্ত পাথর বের হলো। সব খন্ডগুলো তুলে রাস্তার পাসে রাখি। পরে স্থানীয় বাসিন্দা প্রিয়নাথ রায় (৬০) সে গুলো নিয়ে যায়। শুনলাম তিনি ধুয়ে মুছে পরিস্কার করলে দেখতে পায় সেটি নাকি অনেক পুরনো দিনের একটি বিষ্ণু মূর্তি।
সুত্রমতে তিস্তা সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় রংপুর বাপাউবো’র কর্মপরিকল্পনায় বাস্তবায়িত জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে তিস্তা সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও প্রসস্থ করণ কাজ করছে জলঢাকার এ.আর কনস্ট্রাকশন। ওই এলাকার রশিদুল ইসলাম বসুনিয়ার পুকুরে ভ্যাকু মেশিন দ্বারা মাটি খনন কালে এ বিষ্ণু মূর্তিটির সন্ধান মিলে। স্থানীয় বিজেন চন্দ্র রা (৭৬) বলেন, এটি পুরনো দিনের একটি বিষ্ণু মূর্তি। তবে কষ্ঠি পাথর কিনা তা পরিক্ষা করে দেখতে হবে।
বাবুরাম রায় (২৮) জানান, কাদামাটি যুক্ত খন্ডখন্ড পাথর গুলো নিয়ে এসে ধুয়েমুছে দেখতে পাই। এটি বিষ্ণু মূর্তি। এ খবর ছড়িয়ে পরলে বাড়িতে উৎশুক মানুষের সমাগম ঘটে। আজ বুধবার বিকালে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
উদ্ধার কালে জলঢাকা থানা পুলিশের এসআই হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসলাম। দেখলাম এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রাদায়ের মানুষ আসতেছে। এতে এই বাড়িতে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যেহেতু এটি প্রত্নতত্ত্বের বিষয় তাই এটি উদ্ধার করা পুলিশের প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব। এ জন্য এটি নিয়ে যাচ্ছি। যা করার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ করবেন।