• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমারে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনের মধ্য ডোমারে বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত জলঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ জলঢাকার ধর্মপালে স্থানীয়দের অসচেতনতায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা, পথচারীদের ভোগান্তি চরমে  সারাদেশে একসাথে জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান নীলফামারীর স্বনামধন্য অপ্সরা যন্ত্রাংশ ঘরে দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে ডিমলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

আল ইকরাম বিপ্লব, স্টাফ রিপোর্টার / ১৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন

আল ইকরাম বিপ্লব, স্টাফ রির্পোটার : “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”—এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে গতকাল ১৪ এপ্রিল সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

দিনের শুরুতেই উপজেলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় ডাকবাংলো মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত হয়।

নতুন বছরের প্রথম প্রভাতে অনুষ্ঠানস্থল সেজে ওঠে বৈশাখী সাজে। সাদা, নীল, কমলা ও লাল রঙের প্যান্ডেল গোটা আয়োজনকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাইদ ইমরুল মোজাক্কিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সারোয়ার রাব্বি, থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান মেজবা এবং সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবির ও জলঢাকা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির লেনিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলা নববর্ষ কেবল একটি উৎসব নয়—এটি বাঙালির আত্মপরিচয় ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে এই দিনটি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসে।

আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটিকা দর্শকদের মুগ্ধ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

সার্বিক নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত বসার স্থান এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল যথাযথ।

স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের উৎসব আয়োজন নবীন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


More News Of This Category