• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমারে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনের মধ্য ডোমারে বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত জলঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ জলঢাকার ধর্মপালে স্থানীয়দের অসচেতনতায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা, পথচারীদের ভোগান্তি চরমে  সারাদেশে একসাথে জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান নীলফামারীর স্বনামধন্য অপ্সরা যন্ত্রাংশ ঘরে দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে ডিমলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

আল ইকরাম বিপ্লব, স্টাফ রিপোর্টার / ২২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

আল ইকরাম বিপ্লব স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সিংড়িয়া শিবুর হাটের চাকলাপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ও লোকজ উৎসব—চড়ক পূজা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই পূজা কেন্দ্র করে জমে ওঠে এক বিশাল জনসমাগম ও উৎসবের আমেজ।

চৈত্র মাসের শেষ দিন, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই চড়ক পূজায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক ভক্ত ও সন্ন্যাসী। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোর থেকেই নানা আচার-অনুষ্ঠান ও পূজা-পার্বণে অংশ নেন। শিব ভক্তরা উপবাস থেকে শুরু করে নানা দুঃসাধ্য তপস্যা ও কৃচ্ছসাধনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন।

পূজার অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী চড়ক খেলা, যেখানে ভক্তরা পিঠে বাণ বা কাঁটা ফুঁড়ে নিজেকে শিবের প্রতি নিবেদন করেন। কেউ কেউ উঁচু খুঁটির মাথায় ঘুরে চক্রে ঝুলে অংশ নেন ভয়ানক ও দুঃসাধ্য এই প্রদর্শনীতে। এতে অংশ নেওয়া ভক্তরা জানান, এ কষ্ট তাদের কাছে শিবের প্রতি প্রেম ও ভক্তির এক প্রকাশ।

পূজাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা গেছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। বসে যায় গ্রামীণ মেলা, যেখানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে চিংড়িয়া শিবুর হাট এলাকা।

স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির এক সদস্য জানান, “প্রতিবছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চড়ক পূজা সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল যথাযথ।”

এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব শুধু ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগ্রত করে না, বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


More News Of This Category