• শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন |
Headline :
জলঢাকায় স্কুল কক্ষে পাওয়া গেল ঈদ উল আযহায় দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের চাউল “সবার পাঠশালা”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদীয় প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী নীলফামারীতে শুরু হলো মাসব্যাপী গ্রামীণ কুটির শিল্প মেলা নীলফামারীর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন ট্রাক থেকে ৫.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চালক গ্রেফতার জলঢাকায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সেমিনার অনুষ্ঠিত জলঢাকায় রাস্তায় অবৈধ দেয়াল নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন এলাকাবাসী  নীলফামারী পৌরসভায় ভিজিএফ’র চাল বিতরণ চিলাহাটির ঐতিহ্যবাহী সব্দিগঞ্জ ঈদগাঁহ ময়দানের দেয়াল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

আল ইকরাম বিপ্লব, স্টাফ রিপোর্টার / ৬২ Time View
Update : শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন

আল ইকরাম বিপ্লব স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সিংড়িয়া শিবুর হাটের চাকলাপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ও লোকজ উৎসব—চড়ক পূজা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই পূজা কেন্দ্র করে জমে ওঠে এক বিশাল জনসমাগম ও উৎসবের আমেজ।

চৈত্র মাসের শেষ দিন, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই চড়ক পূজায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক ভক্ত ও সন্ন্যাসী। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোর থেকেই নানা আচার-অনুষ্ঠান ও পূজা-পার্বণে অংশ নেন। শিব ভক্তরা উপবাস থেকে শুরু করে নানা দুঃসাধ্য তপস্যা ও কৃচ্ছসাধনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন।

পূজার অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী চড়ক খেলা, যেখানে ভক্তরা পিঠে বাণ বা কাঁটা ফুঁড়ে নিজেকে শিবের প্রতি নিবেদন করেন। কেউ কেউ উঁচু খুঁটির মাথায় ঘুরে চক্রে ঝুলে অংশ নেন ভয়ানক ও দুঃসাধ্য এই প্রদর্শনীতে। এতে অংশ নেওয়া ভক্তরা জানান, এ কষ্ট তাদের কাছে শিবের প্রতি প্রেম ও ভক্তির এক প্রকাশ।

পূজাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা গেছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। বসে যায় গ্রামীণ মেলা, যেখানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে চিংড়িয়া শিবুর হাট এলাকা।

স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির এক সদস্য জানান, “প্রতিবছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চড়ক পূজা সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল যথাযথ।”

এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব শুধু ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগ্রত করে না, বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


More News Of This Category