• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমারে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনের মধ্য ডোমারে বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত জলঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ জলঢাকার ধর্মপালে স্থানীয়দের অসচেতনতায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা, পথচারীদের ভোগান্তি চরমে  সারাদেশে একসাথে জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান নীলফামারীর স্বনামধন্য অপ্সরা যন্ত্রাংশ ঘরে দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে ডিমলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত

মাইদুল হাসান,  বিশেষ প্রতিনিধি: / ১৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন

মাইদুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি: জলঢাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক ধর্মীয় উৎসব চরক খেলা।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ উৎসব করে থাকেন।

শিব পূজা উপলক্ষে চৈত্র মাসের প্রথম সংক্রান্তি লগ্নে এ চরক পূজার আয়োজন করেন শৌলমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড শিংড়িয়া শিবুরহাট গুরুদাশপাড়ার বাসিন্দা শ্রী রবিকান্ত রায় কবিরাজ।

এ চরক পূজার খেলা দেখার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের পদচারণা ঘটে রবি কবিরাজের বাড়িতে।

১৪ই এপ্রিল সোমবার রবি কবিরাজের বাড়িতে শিব পূজা উপলক্ষে এ চরক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে পূজা পাটের পাশাপাশি আরতি, নিত্যসহ শরীরের পিঠ ছিদ্র করে রড দিয়ে শুন্য হাতে ঝুলিয়ে উরন্ত পাখির মত উড়ার মর্মান্তিক ও ঐতিহাসিক চরক খেলা প্রত্যক্ষ করেন দর্শনার্থীরা।

চরক পূজার আয়োজক রবিকান্ত রায় কবিরাজ বলেন, এবারের চরক পূজা প্রদর্শন করবেন ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের তালতলা ঝুনাগাছ চাঁপানী গ্রামের বিপুল চন্দ্র রায় (৩৬) ও জলঢাকা উপজেলার চেড়েংঙ্গা ঘুঁঘুঁরডাঙ্গা গ্রামের রঞ্জিত কামারের ছেলে শ্যামল চন্দ্র রায়(৩৫)। এছাড়া মন্দিরে পূজাপাট ও চরক খেলায় সার্বিক সহায়তায় ছিল বিরেন্দ্র নাথ রায় এবং ধনঞ্জয় কুমার রায়।

শিব মন্দিরের সভাপতি কালীচরণ রায় জানান, প্রতি বছর উপজেলার মধ্যে আমরাই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি এই চরক খেলা।

আয়োজক কবিরাজ রবিকান্ত রায় বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি প্রথম তিথিতে শিবের আরাধনা উৎযাপন উপলক্ষে ঐতিহাসিক এ চরক খেলার আয়োজন করে থাকি। এ উৎসবে প্রায় আট দশ হাজার তারো বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও প্রায় সকল ধর্মের মানুষ এ চরক খেলা উপভোগ করে। আমরা আয়োজক কমিটি বিচক্ষণতার সহিত এ চরক খেলা পরিচালনা করি। যেহেতু আমরা এটি ধর্মীয় উৎসব পালন করি সেহেতু এখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও অনৈতিক কোন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য এ চরক পূজাকে কেন্দ্রকে করে রকমারি ভ্রাম্যমাণ দোকানের পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সব ভাম্যমান দোকানে শিশুদের পাশাপাশি নারী ও মহিলা ক্রেতাদের সংখ্যা লক্ষনীয়ভাবে বেশি। তবে কোনরুপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এবারের অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক চরক খেলা।


More News Of This Category