মাইদুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধি :- আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে সোনার বাংলা করতে গিয়ে শ্মশান বাংলায় পরিনত করেছেন।

আমরা কেন ঝানাই ফানাই রাজনীতি বুঝি না আওয়ামী ফেসিবাদের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার জামায়াত নেতা এ.টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো জেলে কেন এর জবাব অন্তবর্তী সরকারকেই দিতে হবে।

নিঃসকলঙ্ক জামায়াত নেতাকে জনগনের নিকট ফিরিয়ে দিন সেই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীকে জনগনের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিন।

আওয়ামিলীগ সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক বলিরপাঠা মনে করে নিষিদ্ধকরণসহ নিপিড়ন নির্যাতনের মাধ্যমে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করা লক্ষ্যে এমন কিছু নেই যে করেনি। বাংলার মানুষ আর এই ফেসিস্ট আওয়ামী রাজনীতি দেখতে চায় না মন্তব্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান এ কথা গুলো বলেন।

আজ ১৯শে এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার আয়োজনে স্টেডিয়াম মাঠের বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দীন, অধ্যাপক মাহবুবুবর রহমান বেলাল, রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার এবং জেলা মজলিসে সুরা সদস্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ সালাফি।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা আমীর আব্দুল মোত্তাক্কিন, শহীদি কাফেলা রংপুর বিভাগের ছাত্র শিবির নুরুল হুদা, নীলফামারী সদর আমীর সাইয়্যেদ আবু হানিফা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, মাওলানা এমদাদুল হক, জেলা সদর আসনের এমপি প্রার্থী ডা. খায়রুল আনাম, রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের দায়িত্বশীল আব্দুর রশীদ, জেলা কর্মপরিষদ ও সুরা সদস্য অধ্যাপক সাদের হোসেন,অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জুয়েল, জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আলহাজ্ব কামরুজ্জামান ও মাওলানা মজিবর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জলঢাকা উপজেলা এক সময় জামায়াতের অধ্যাষিত এলাকা ছিল। আওয়ামী ফেসিস্ট দেশ ব্যাপী নৈরাজ্যের মাধ্যমে ও একনায়কতন্ত্র শাসন কায়েম করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক বলিরপাঠা মনে করেছে।

এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফেসিস্ট আওয়ামীলীগদের হৃদয়ে যদি সত্যিকার অর্থে দেশাত্মবোধক হতেন তবে এভাবে দেশ থেকে লেজ গুটিয়ে পালাতেন না। আমার আজকের বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই, অন্তবর্তী সরকারকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে, রংপুর ডালিয়া মহাসড়ক ৪ লেনের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে, নদী মাতৃক এই জলঢাকা ভুমিতে বৃহৎ সেতু নির্মানসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলজুলুম নেতাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তবে আওয়ামী ফেসিস্টদের বিচার ও দেশ সংস্করণ উভয় করে দেশে সুন্দর নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। এর ব্যতয় হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘরে বসে থাকবে না।

জলঢাকা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্দ্যোগে বিশাল এ জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকে পার্সবর্তী উপজেলা ডিমলা, ডোমার, সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী জেলা ও সদর উপজেলাসহ রংপুর লালমনিরহাট থেকে দলে দলে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে সভামঞ্চ মাঠে যোগ দেয়।

দুপুর দুইটার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয় জলঢাকা মিনি স্টেডিয়াম মাঠ। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনরুপ ডিসিপ্লিনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখা। জনসভায় আগত লোকজনদের মাঝে এ বিষয়টি যেমন দৃষ্টি কেরেছে ও আনন্দ উদ্ভাবিত করেছে তেমনি কথপোকথনে প্রশংসার কমতি ছিল না। উক্ত বিশাল জনসভাটি সার্বিক সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোয়াম্মার আল-হাসান।