মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলা ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টায় একটি মামলা হয় সেই মামলাটি তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন,হুমকি সহ রাতের অন্ধকারে বাদীর বসতবাড়ি উপরে এলোপাথাড়ি ভাবে ইট পাথর নিক্ষেপ করে ভয়ভীতির সঞ্চারের পাশাপাশি নানা রকম প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
তারা শুধু এতেই ক্ষ্যান্ত হননি, এর মধ্যে একটি চক্র বাদীকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ও প্রকাশ্যে মামলাটি মীমাংসা করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এতে বাদীপক্ষ হতে কোন রূপ সদুত্তর না পেয়ে বিভিন্ন ধরনের অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীর পিতা মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিবাদীদের পক্ষে একটি বড় চক্র মামলাটি যাতে মিমাংসা করা যায় সেই আলোকে কাজ করছে।
তারা আরও জানান, আমাদেরকে রাস্তা -ঘাটে এমনকি বাড়িতেও এসে বিভিন্ন প্রলোভনের পাশাপাশি নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন যাতে করে আমরা মামলাটি তুলে নেই। বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছি। পরিশেষে তারা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার ১নং ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি ৬ নং ওয়ার্ডে গত ৫ই এপ্রিল বিকেলে রফিকুল ইসলামের নাবালিকা শিশু কন্যা (ছন্দনাম) এস (৫) কে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফজলুল হকের পুত্র রনি ইসলাম (২৮) জোর পূর্বক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এসময় শিশুটির আত্ন চিৎকারে হেলাল মিয়া ও শফিকুল ইসলাম দৌড়ে গেলে রনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর শিশুটির শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং গত ৬ এপ্রিল নীলফামারী জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ডোমার থানা মামলা নাম্বার ০৪ তারিখঃ ৬ই এপ্রিল ২০২৫ইং ধারা ২০০৩ এর ৯/৪(খ)ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
এবিষয়ে উক্ত মামলার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা (আই,ও) উৎপল রায়ের কাছে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের প্রশাসনিকভাবে এসপি স্যারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে আসামি গ্রেফতার করার জন্য।
আমরা আসামীকে ধরার চেষ্টা করছি আসামীর অবস্থান শনাক্ত হলেই তাকে যতদ্রুত সম্ভব তাকে গ্রেফতার করে বিঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।