আল ইকরাম বিপ্লব, স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে গেছে নির্মম এক ঘটনা। আলমগীর ইসলাম বাবু নামের এক ব্যক্তি ১৭ মাস বয়সী দুগ্ধপোষ্য কন্যাশিশু কেড়ে নিয়ে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গেলে নির্যাতনের শিকার রেবা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার বাবার বাড়ি কুয়াকাটা জেলায়। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আলমগীর ইসলাম বাবুর সাথে সংসার করে আসছিলেন। এ সময় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রতিবাদ করলে তিনি স্বামীর হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।
রেবা বেগম বলেন, “আমার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং ক্যাসিনো, থাই ও অনলাইন জুয়ার সাথে যুক্ত হয়। এসব থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। সর্বশেষ, আমার ১৭ মাসের দুগ্ধপোষ্য কন্যা আয়েশা আক্তারকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে আমি হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন।”
অভিযুক্ত আলমগীর ইসলাম বাবু পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত ছমির উদ্দিনের ছেলে।
বর্তমানে জলঢাকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ শূন্য থাকায় এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
একজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এ ধরনের পাশবিক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর ইসলাম বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।