• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমারে আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ফেল, দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও ডোমারের স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু নীলফামারীতে এক পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বিমান গ্রেফতার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের দাফন সম্পন্ন চিলাহাটিতে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র শিবিরের  ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন নীলফামারীতে সড়কে প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষিকার তারেক রহমান – বাংলাদেশের নতুন সূর্য নীলফামারীতে ২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

সম্পাদকীয় – বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

মাহাদী হাসান মানিক / ৩৮ Time View
Update : শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

তীব্র ঠাণ্ডায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই কাজের ফাঁকে শুকনো খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে তীব্র শীতে বোরো বীজতলা ও আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে স্বচ্ছ সাদা রঙের প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা।

আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে জমিতে চারা রোপণের সাহস পাঁচ্ছে না কৃষকেরা। হঠাৎ কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে কারণে, চারার গোঁড়া বা পাতা পচা রোগ এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করে বীজতলা দুর্বল হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এদিকে সূর্যের আলো ঠিকমতো না পাওয়ায় বোরোর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

এ অবস্থায় বীজতলা রক্ষায় উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে কৃষকদের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করতে বলা হলেও তেমন একটা কাজ হচ্ছে না বলে জানান কৃষকেরা। এ বছর বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা মাঘ মাসের ১৫-২০ দিনের মধ্যেই বোরো চাষ শুরু হবে। বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করতে হবে।

কিন্তু বীজতলার চারার ৫০-৬০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বোরো চাষ নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করলেও বোরো আবাদ দেরি হয়ে যাবে। ফলে ধানের ফলন কম হবে। এতে করে কৃষকেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তীব্র শীতের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা।

অনেকে চারা রক্ষায় কোথাও বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে, কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে চারা রক্ষার চেষ্টা করছেন। বর্তমান যে পরিস্থিতি এতে করে বুঝতে বাকি থাকেনা যে, বোরো বীজতলা ও আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। “বীজতলা এখনো নষ্ট হয়নি। তবে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকার করনে হয়তো, চারা খাদ্য গ্রহণ করতে না পেরে পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।”

ফলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উচিত, বীজতলা নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিটি কৃষকদের বাড়তি যত্ন ও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যেন কৃষকরা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পান এবং চরম ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন। এ ছাড়া যারা নিজ কাঁধে পুরো জাতিকে খাওয়ানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বহন করছেন, সেই কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে অবশ্যই আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category