রংপুরের পীরগাছায় দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকা শিশু উম্মে হাবিবার (৭) লাশ মিলল বাড়ির পাশের একটি পুকুরে। গতকাল সোমবার সকালে তার মরদেহ ভেসে উঠলে পীরগাছা থানার পুলিশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে শিশু হাবিবার মৃত্যু রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার।
শিশু হাবিবা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের চালুনিয়া (পানাতিপাড়া) গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে ও স্থানীয় মিলিনিয়াম চাইল্ড স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মরদেহ ভেসে ওঠার খবরে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভীড় করে। জানা যায় , আব্দুল হাকিমের ৭ বছরের কন্যাশিশু উম্মে হাবিবা শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে বাড়িতে না ফিরলে খোঁজাখুঁজির পর ওইদিন রাতেই পীরগাছা থানায় সাধারন ডাইরী করেন শিশুটির পিতা। গত রোববার বাড়ির পাশের ওই পুকুরে ৮/১০ জন ব্যক্তি জাল ফেলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। শিশুটির মার সাথে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় সে বাবা ও সৎ মায়ের কাছে থাকতো।
গতকাল সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক ব্যক্তি হাঁস তাড়াতে গিয়ে ভেসে ওঠা মরদেহ দেখে চিৎকার দেন। পরে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। শিশুর চাচা আব্দুল আজিজ বলেন, কাল পুকুরে এতো লোক খুঁজলাম পেলাম না। আজ লাশ পেলাম, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা সঠিক বিচার চাই। নিহত শিশুর পিতা আব্দুল হাকিম বলেন, আমার মেয়ে কোন দোষ করেনি।
শত্রুতা করে পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কিভাবে মারা গেছে, তা উঠে আসবে। আমরাও পারিপার্শ্বিক সব বিষয় তদন্ত করে দেখছি। এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না।