শিশু খাদ্যে ক্যামিকেল, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল প্রতিরোধে দেশের তিনটি জেলা-উপজেলায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ও দুপুরে পৃথক তিন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এ রায় ও জরিমানা করা হয়।
হাজীগঞ্জ:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিশু খাদ্যে ক্যামিকেল ও বিষাক্ত কাপড়ের রঙ মিশ্রিত খাদ্যসামগ্রী বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত চাঁদপুর এর জ্যেষ্ঠ বিচারক মোরশেদ আলম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনাছের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। আনাছ বাজারের স্বর্ণকার পট্টির হাজী আবু তাহের ষ্টোরের সত্ত্বাধীকারী।
জানা গেছে, উপজেলা স্যানেটারি পরিদর্শক সামছুল আলম রমিজ নিয়মিত অভিযানে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীর দোকানে শিশুদের খাদ্যে ক্যামিকেল ব্যবহার, বিষাক্ত কাপড়ের রঙ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী পান। এরপর তিনি তার বিরুদ্ধে শিশু খাদ্য আইনে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর মামলা করেন।
স্যানেটারি পরিদর্শক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সামছুল আলম রমিজ জানান, ব্যবসায়ী আনাস অনুমোদনবিহীন ক্যামিকেল মিশ্রিত শিশু খাদ্যসমূহ পাইকারি দরে বিক্রি ও সরবরাহের দায়ে এ জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
নাটোর:
নাটোরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে তিনটি দোকান মালিককে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শহরের নিচাবাজার এলাকার সোহাগ ফল ঘরকে ২ হাজার, রিফাত স্টোরকে ৬ হাজার এবং খান স্টোরের মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অন্য দোকান মালিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাটোর শহরের নিচাবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
কমলগঞ্জ:
কমলগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৯ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়েছে। শহীদনগর বাজারের দেওয়ান ট্রেডার্সকে ৪ হাজার, শমসেরনগর বাজারের শাহপরাণ ফল ভান্ডারকে ২ হাজার, বিসমিল্লাহ স্টোরকে ১০ হাজার ও মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।