ads
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন |
Headline :
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের দাফন সম্পন্ন চিলাহাটিতে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র শিবিরের  ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন নীলফামারীতে সড়কে প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষিকার তারেক রহমান – বাংলাদেশের নতুন সূর্য নীলফামারীতে ২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবীশদের চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট উপজেলা স্কাউটসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর রিনো চিলাহাটিতে পিতা হত্যা মামলায় র‍্যাবের হাতে ছেলে সিদ্দিক গ্রেফতার

লালমনিরহাটে স্টিভিয়া চাষে জীবনের ভাগ্য বদল

স্টাফ রির্পোটার / ৯১১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

উৎপাদনের তুলনায় দেশে চিনি চাহিদা ব্যাপক থাকায় দামও প্রচুর। বেশি দামে ক্রয় করা চিনিও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অস্বস্থ্যকর। চিনি বেশি খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা বাড়ায়। এ কারণে চিনির বিকল্প হিসেবে স্টিভিয়া চাষাবাদ হচ্ছে বহিঃবিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

সেই স্টিভিয়া এবার পরীক্ষামুলক ভাবে চাষাবাদ করে সফল হয়েছেন উপ সহকারী প্রকৌশলী জীবন কৃষ্ণ রায়। মাত্র ১৭টি স্টিভিয়া চারা থেকে প্রকল্প শুরুর ৮ মাসেই শতাধিক চারা করেছেন তার বাগানে। এখন পরিকল্পনা বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ।

উপ সহকারী প্রকৌশলী জীবন কৃষ্ণ রায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সোনারহাট এলাকার ভূপেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে। তিনি আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকুরীর ফাঁকে ছুটির দিনে স্টিভিয়া বাগান পরিচর্যা করেন তিনি।

জীবন কৃষ্ণ রায় জানান, চাকুরী জীবনের একটা প্রশিক্ষণে গিয়ে স্টিভিয়া সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা শুনে বাড়িতে স্টিভিয়ার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেন জীবন কৃষ্ণ রায়। এরপর ইউটিউভ সার্চ করে অনলাইনে অডার করে এর ১৭টি চারা সংগ্রহ করে বাগানে রোপন করেন। মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে তার বাগানে শতাধিক চারা হয়েছে। গাছে গোরা থেকে গজিয়ে উঠা নতুন গাছ থেকে স্টিভিয়ার চারা সংগ্রহ করতে হয়। একটু নিড়ানী জৈব সার আর পরিমিত পানি সেচ দিলেই গাছ বেড়ে উঠে। প্রতিটি গাছে মাত্র ৩ মাসে পাতা ও ডাল সংগ্রহ করা হয়। এরপর এসব পাতা ও ডাল রোদে শুকিয়ে গুড়া করতে হয়। সেই গুড়া সামান্য পরিমান পানিতে দিলে তা চিনির চেয়েও বেশি মিষ্টি সাদ পাওয়া যায়। এর কাঁচা পাতা পানিতে দিয়ে গরম করলে সে পানি  চিনির মত মিষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, চা পানে এই কাঁচা পাতা পানিতে দিয়ে তা গরম করে চা পাতা দিলে তা চায়ের সাদ পাওয়া যাবে।  যারা চিনি ছাড়া চা পান করেন তাদের জন্য স্টিভিয়ার কাঁচা পাতা বা গুড়া দিলেই চিনি ছাড়াই চিনির সাদ পাবেন। স্টিভিয়ার গুড়া দিয়ে ফিরনি পায়েস তৈরী করা সম্ভব। স্টিভিয়ার প্রতি কেজি গুড়া ৩০/৩৫ কেজি চিনির কাজ করে। স্টিভিয়ার গুড়া বাজারজাত করা যায়। যা বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা দরে।

জীবন কৃষ্ণ রায় বলেন, তার বাগানে উৎপাদিত স্টিভিয়ার গুড়া রংপুর ডায়াবেটিস সমিতিতে রোগীদের জন্য পাঠানো হয়। রোগীরা এর চা পান করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন। এখন ডায়াবেটিস রোগীরা তার বাগানের স্টিভিয়ার চাহিদা করছে। তাদের চাহিদা বিবেচনায় বাগানের পাতা ও ডাল সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে তা ব্লান্ডার মেশিনে গুড়ো করে সরবরাহ করছেন। এ প্রজেক্টটি পরীক্ষামুলক ভাবে গ্রহন করে বেশ সফল হয়ে এখন বাণিজ্যিক ভাবে স্টিভিয়া চাষাবাদের পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা অনেকেই দেখতে এসে তার বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করছেন। এটি বারান্দায় বা বাসার উঠানে ছাদে টবেও চাষাবাদ করা সম্ভব। এ কারণে টবেও চারা তৈরী করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category