• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন |

সৈয়দপুরে হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস (হিড) এর কুরবানি প্রোগ্রমে লুটপাটের অভিযোগ

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, বার্তা সম্পাদক / ২৫ Time View
Update : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস (হিড) পরিচালিত এনজিও নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ বাসা নাম্বার ৮১, রোড নম্বার ০১, নিউ নেসপাড়া রংপুর। উক্ত এনজিওর অর্থায়নে সৈয়দপুরে কুরবানির ২০২৪ কুরবানি প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হয়। ১৮ তারিখ ও ১৯ তারিখে ক্যাম্পবাসিদের মাঝে গরু ছাগল কুরবানি করে বিতরণ করা হয়েছে। চামড়া গুদাম ক্যাম্প বাসি নাম প্রকাশ  না করার শর্তে মোবাইল টেলিফোনে অভিযোগ করেন, কুরবানির পশু এনজিও (হিড) ও কিছু সিন্ডিকেট মিলে লুটপাট করছেন। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে টেলিফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “কয়টি এনজিও কুরবানি প্রোগ্রামের কাগজ জমা দিয়েছেন তা তার ডাক ফাইলে এখনও আসে নি।” প্রধানমন্ত্রীর এনজিও বিষয়ক কার্যালয়ের টাকা ছারপত্রের প্রথম শর্তই, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সম্পৃক্ত রেখে এ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আপনার দপ্তর থেকে কোনো প্রকার ট্যাক অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিনা তিনি বলেন, ”এটি কোথাও বলা নাই”। পরবর্তীতে সৈয়দপুর উপজেলা এনজিও বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরের কর্মকর্তাকে টেলিফোনে তার কাছে (হিড) এনজিওর কুরবানির প্রোগ্রামের কাগজপত্র জমা দিয়েছে কিনা? তিনি বলেন, কাগজপত্র তারা জমা দিয়েছে। সেখানে বলা আছে সৈয়দপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দ ৪০ টি গরু, ৪০ টি ছাগল। প্রতিটি গরুর মূল্য ৮০,৭৩০ টাকা, প্রতিটি ছাগলের মূল্য ১৫,২১০ টাকা। অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪/৫ জন সাংবাদিক কুরবানির স্থানে গিয়ে উক্ত এনজিওর প্রতিনিধি লতিফ কে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, দুই দিনে কুরবানি হয়েছে ২৫ টি গরু ও ২৫ টি ছাগল। তার কাছে এফসি ওয়ান ও এফডি সিক্স এর কাগজ সহ পশুর পরিমাণ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ রংপুরে আছে। কুরবানির স্থলে কেন কাগজ নাই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে গিয়ে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ হারুনের মোবাইল নাম্বারে (০১৭৫০৫৬৮৪২০) ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ২৫ টি গরু ২৫ টি ছাগল বরাদ্দ হয়েছে। যা সৈয়দপুর নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে জমাকৃত তার স্বাক্ষরিত কাগজের সাথে কোন মিল নাই। তাদের ভাষ্যমতে, তারা কুরবানি কম দিয়েছে ১৫ টি গরু, ১৫ টি ছাগল যার মোট মূল্য ১৪,৩৯,১০০ টাকার কুরবানির পশুর কোনো হিসাব কাগজের সাথে মিলছে না। সাংবাদিকরা স্বশরীরে উপজেলায় গিয়ে এনজিওর জমাকৃত কাগজে দেখা যায়, তার সর্বসাকুল্যে বরাদ্দ ৫৩,৬১,৬১০ টাকা । যার বরাদ্দপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ের বরাদ্দপত্রে নিলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ৪০ টি গরু, ৪০ টি ছাগল। রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার জন্য ১২ টি গরু ১০ টি ছাগল। ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার জন্য ৫ টি গরু। মোট ৫৭ টি গরু ৫০ টি ছাগল। তারা সৈয়দপুর উপজেলায় ১৫ টি গরু, ১৫ টি ছাগল গায়েব করে দুর্নীতি করেছে। এ ব্যাপারে চামড়াগুদাম ক্যাম্পের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এইভাবে তারা গরীবের নামে কুরবানি নিয়ে এসে লুটেপুটে খাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category