• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন |
Headline :
পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় দেবীগঞ্জে নিহত -১ আহত-২ জলঢাকায় গাজায় ইসরাঈলী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত নীলফামারীতে আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা জলঢাকায় টিআর কাবিখা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করলেন ইউএনও-পিআইও জলঢাকা সরকারি কলেজে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর হোসেনকে শুভেচ্ছা ডোমারে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের ভারতে দেওয়া নির্যাতনের বিবৃতি সত্য নয় ডোমারে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জলঢাকায় ঐতিহাসিক চরক খেলা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা জলঢাকায় হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মীয় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

সম্পাদকীয় – বন্যা পরিস্থিতি, কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি

মাহাদী হাসান মানিক / ১০০ Time View
Update : শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

মাহাদী হাসান মানিক:

বিগত কয়েক বছরের মতোই এবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে এবারও সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।

জানা গেছে, সিলেট নগরী ও সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

দেশে বর্ষা মৌসুমে বন্যা স্বাভাবিক ঘটনা। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে সিলেটে বেশি বৃষ্টি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বর্ষাকালে টানা প্লাবিত হচ্ছে সিলেট অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার পেছনে নদীর নাব্য সংকট যেমন দায়ী, তেমনি অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণেও সিলেট অঞ্চলের মানুষ ঘন ঘন বন্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

আমরা মনে করি, সুষ্ঠু নদী ও বন্যা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত টেকসই বন্যা প্রতিরোধী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগী হওয়া। বন্যা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে যে কোনো শহরের পাশে মৌসুমি প্লাবন ভূমি রাখা খুবই জরুরি।

অথচ সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক প্লাবনভূমিতে অবৈধ বসতি গড়তে দেখা যায়। জলাধার ও প্লাবন ভূমি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষকে তাই কঠোর হওয়ার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি প্রবাহের গতিপথ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও নজর দিতে হবে। অভিন্ন নদীগুলোর গতি-প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে ভারত ও নেপালের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার বিষয়েও সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে তা ফলপ্রসূ হয়।

গত ৫০ বছরে দেশে প্রচুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি হয়েছে। পরিতাপের বিষয়, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার সাফল্যের পরিচয় দিতে পারছে না। বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। তাদের মানবিক বিপর্যয়ের দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়েও নজর দেওয়া জরুরি। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।

এছাড়া, উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে নীলফামারীর জলঢাকা,  ডিমলা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আমরা আশা করি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


More News Of This Category