• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন |
Headline :
ডোমারে আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ফেল, দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও ডোমারের স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু নীলফামারীতে এক পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বিমান গ্রেফতার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের দাফন সম্পন্ন চিলাহাটিতে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র শিবিরের  ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন নীলফামারীতে সড়কে প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষিকার তারেক রহমান – বাংলাদেশের নতুন সূর্য নীলফামারীতে ২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

সম্পাদকীয় – বন্যা পরিস্থিতি, কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি

মাহাদী হাসান মানিক / ৭৯ Time View
Update : শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

মাহাদী হাসান মানিক:

বিগত কয়েক বছরের মতোই এবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে এবারও সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।

জানা গেছে, সিলেট নগরী ও সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

দেশে বর্ষা মৌসুমে বন্যা স্বাভাবিক ঘটনা। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে সিলেটে বেশি বৃষ্টি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বর্ষাকালে টানা প্লাবিত হচ্ছে সিলেট অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার পেছনে নদীর নাব্য সংকট যেমন দায়ী, তেমনি অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণেও সিলেট অঞ্চলের মানুষ ঘন ঘন বন্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

আমরা মনে করি, সুষ্ঠু নদী ও বন্যা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত টেকসই বন্যা প্রতিরোধী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগী হওয়া। বন্যা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে যে কোনো শহরের পাশে মৌসুমি প্লাবন ভূমি রাখা খুবই জরুরি।

অথচ সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক প্লাবনভূমিতে অবৈধ বসতি গড়তে দেখা যায়। জলাধার ও প্লাবন ভূমি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষকে তাই কঠোর হওয়ার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি প্রবাহের গতিপথ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও নজর দিতে হবে। অভিন্ন নদীগুলোর গতি-প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে ভারত ও নেপালের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার বিষয়েও সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে তা ফলপ্রসূ হয়।

গত ৫০ বছরে দেশে প্রচুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি হয়েছে। পরিতাপের বিষয়, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার সাফল্যের পরিচয় দিতে পারছে না। বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। তাদের মানবিক বিপর্যয়ের দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়েও নজর দেওয়া জরুরি। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।

এছাড়া, উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে নীলফামারীর জলঢাকা,  ডিমলা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আমরা আশা করি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category