• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন |

কাদা পানির শহরে পরিণত হয়েছে জলঢাকা পৌরসভা : বর্ষা এলেই বাড়ে জনদুর্ভোগ

আবেদ আলী / ২৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

আবেদ আলীঃ
কাদা পানির শহরে পরিণত হয়েছে জলঢাকা পৌরসভা বর্ষা এলেই বাড়ে জনদুর্ভোগ। টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে থানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসি। পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পৌরশহরের বিকল্প সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার ফলে কাদা পানিতে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পাড়ায় পথচারী সহ স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরজুড়ে পরিণত হয় জলাবদ্ধতা। জনসাধারণের চলাচলে দুরাবস্থার যেনো শেষ থাকে না। বিশেষ করে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাফিক মোড় হতে কৈমারী সড়কটি সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পৌরসভাটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও বর্তমানে জলাবদ্ধতাই এখন প্রধান কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া, মুদিপাড়া, সবুজপাড়া ও কদমতলী এলাকার রাস্তায় পানি জমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা।
জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদটির ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে রূপান্তরিত হয়েছে পৌরসভায়। এখন খ শ্রেনী থেকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নতি করা হলেও কেনো কাদা পানিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে এখন এটাই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শহরে কাদা পানি নিষ্কাশনে সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহর উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসি।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৩১ মে’ ২০১১ ইং তারিখের জারীকৃত এক পরিপত্রের মাধ্যমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ‘২৩ ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে উপ সচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে জলঢাকা পৌরসভাকে “খ’ শ্রেনী থেকে “ক’ শ্রেনীতে উন্নীত করা হয়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জলঢাকা সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় রুপান্তর করে ঘোষনা করেন।
  • ২০০১ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার জলঢাকা সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড ও ১০৮টি পাড়া মহল্লার, ২৮.২২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ৮২,৩৮৫ জন জনসংখ্যা ও ২৭.৪৩২জন ভোটার নিয়ে ৩য় শ্রেনীর পৌরসভা গঠন করে এবং পৌরসভার কার্যক্রমের শুভ সুচনা করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী জিল্লুর রহমান। সেই সময় সরকার জলঢাকা সদর ইউপির মেয়াদ শেষ হওয়ার ২মাস ১৪ দিন আগে পৌর সভায় উন্নীত করে তৎকালীন জলঢাকার ইউএনও কে প্রথম প্রশাসক নিয়োগ দেন। ২০০২ সালে পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন প্রয়াত বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক কবির চৌধুরী। ২য় বারেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।
পরে তিনি মৃত্যু বরণ করলে উপ নির্বাচনে মেয়র হন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন বাবলু। এর পরের নির্বাচনে মেয়র হন মরহুম কবির চৌধুরীর ছেলে ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট। এদিকে মেয়র বাবলুর সময়ে ২০১৩ সালের ১১জুন পৌরসভাটি ২য় শ্রেনীতে উন্নীত করে সরকার। এটি জলঢাকা বাসীর আন্দোলনের ফসল। পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে ২য় বার বিজয় অর্জন করেন ইলিয়াস হোসেন বাবলু। তিনি নির্বাচিত হয়ে জলঢাকা পৌরসভাকে ২য় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি করেন সরকার। তার চলমান উন্নয়ন কাজে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি চলতি বছরে মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনে তারই ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি গত রোববার পৌরসভার বাজেট অনুষ্ঠানে জলঢাকা পৌরশহরকে কাদা পানি মুক্ত করে মানসম্মত শহর বিনির্মাণের ঘোষণা দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category