ads
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন |
Headline :
নীলফামারীতে এক পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বিমান গ্রেফতার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের দাফন সম্পন্ন চিলাহাটিতে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র শিবিরের  ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন নীলফামারীতে সড়কে প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষিকার তারেক রহমান – বাংলাদেশের নতুন সূর্য নীলফামারীতে ২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবীশদের চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট উপজেলা স্কাউটসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে মাছের পোনা চাষে লাখোপতি সুমন ইসলাম

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারী / ২৮ Time View
Update : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ  নীলফামারীর ডোমারে মাছের পোনা চাষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং অনেক পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে এই পোনা মাছ । এরইমধ্যে উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে মাছের পোনা চাষে লাখোপতি হয়েছেন সুমন ইসলাম নামে এক পোনামাছ ব্যবসায়ী।

উপজেলার ০৪ নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ মাস্টার পাড়া গ্রামের পোনা চাষী সুমন ইসলামের বর্তমান প্রধান আয়ের উৎস হলো পোনা মাছ চাষ।
এবিষয়ে পোনা মাছ চাষী সুমন ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান পূর্বে থেকে পোনা মাছ চাষের জন্য পুকুরে বিভিন্ন জাতের পোনা মজুদ করতাম, কেউ কেউ বছরে ১/২ বার রেনু ধানী ছাড়তেন। পোনা অতিরিক্ত হলে মাঝে মধ্যে কিছু বিক্রি করতাম কিন্তু বর্তমানে শার্প এনজিও এর মৎস্য কর্মকর্তা ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৩/৪ প্রকার রেনু/ধানি পুকুরে মজুদ করেছি শুধুমাত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে।
পোনা মাছে লাভের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন ইসলাম বলেন, পোনা মাছ বিক্রি করে আমার পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। আমি ৩৪ শতাংশের একটি পুকুরে ৫০ দিনের সময় অনুপাতে ১৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কার্প জাতীয় পোনামাছ ৮ মন পুকুরে ফেলেছি এবং সেই পোনা মাছ পাইকারদের কাছে ৮২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এখনো যে পরিমান পোনা পুকুরে মজুদ রয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা।এই পুকুর হতে আমার লাভ প্রায় ৮৪ হাজার টাকা।

এবিষয়ে সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট (মৎস্য খাত) মাছ চাষে বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং সদস্য পর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং সম্প্রসারণ করে আসছে। তিনি আরো বলেন- স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভের জন্য গুনগত মানের মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রির কোন বিকল্প নেই।

এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মৎস্য হ্যাচারী রয়েছে। মাছ চাষে ভাল পোনার কোন বিকল্প নেই। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের মাছ চাষীদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। লাভ বেশী হওয়ায় অনেকে মাছের পোনা চাষে ধাবিত হচ্ছেন। তবে আমার জানা মতে শার্প এনজিও মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category