টানা বৃষ্টিতে নীলফামারী জলঢাকা পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, সরকারী প্রতিষ্ঠান সহ শহরের পাড়া-মহল্লার, অলিতে-গলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের থাকার ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
এতে জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। বুধবার (১০ জুন) দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন অলিগলির সড়কগুলোতে পানি। কোথাও কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি। পানি বের হবার রাস্তা না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে শহরবাসীর দাবি।
জানা যায়, বৃষ্টির পানি জমে জলঢাকা থানা, মডেল সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্য গোডাউন, জনতা সিনেমা হল রোড, ৬নং সবুজ পাড়া, ২নং সাবেক ভাইস চেয়াম্যানের এলিচের বাড়ীর রোড, কলেজরোড, আদর্শ পাড়া, আমরুল বাড়ী, কাজিরহাট, ডাকবাংলো পাড়া, বাসস্ট্যান্ড – ডাংঙ্গাপাড়া সড়কসহ বগুলাগাড়ীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ঘর-বাড়ী তলিয়ে গেছে।
এছাড়া আবাসিক নিম্নাঞ্চল এলাকার অনেক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে । অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি বের হতে না পারার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।
শহরের ২নং ওয়ার্ডের ডাকবাংলো এলাকার মো. রন্জু মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে ঘরের সিঁড়ি পর্যন্ত পানি এসেছে। যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে ঘরের মধ্যেই পানি ঢুকে যাবে। পৌরসভার নাগরিক হয়েও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরেক ভুক্তভোগী মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, ঘরের সিঁড়ি পানিতে ডুবে গেছে ও পানি ঘরে ঢুকে গেছে। আসলে পানি বের হবার কোনো পথ নেই। তাই বৃষ্টির পানি জমে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন ইন্জিনিয়ারিং প্ল্যানিং করে আধুনিক ড্রেনেস ব্যবস্থা ও পাশাপাশি ড্রেনগুলোতে পানি ঢোকার জন্য উন্মুক্ত ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
গতকাল দুপুর ১২টায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সংলগ্ন পানি বন্দী রাস্তায় দেখা মিলে উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র নাসিব সাদিক হোসেন (নোভা)’র সাথে।
কথা হলে তিনি বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি, কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে, গত রাতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক জায়গায় পানি জমে আছে, লোকজন নিয়ে আমি নিজেই এসেছি জলাবদ্ধতা নিয়ে কি করা যায়? আল্লাহ’র দেওয়া বৃষ্টিতে মানুষের কি আর করার আছে? মানুষের সাময়িক কষ্ট হয়েছে, এটা সত্য! তবে, পৌরসভা জলাবদ্ধতার কারন নির্ণয় করে তা দূরিকরণে স্থায়ী সমাধানের পথ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপরে বেশী গুরুত্ব দিবে, এতে করে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে যাবে। যার কার্যক্রম আপনারা অচিরেই দেখতে পাবেন, ইনশাআল্লাহ!