• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন |

জলঢাকা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে পশু জবাই : দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ও বর্জ মুক্ত পরিবেশের দাবি পৌরবাসির 

আবেদ আলী / ৩০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন

আবেদ আলীঃ
নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌরশহরে সমস্যার অন্ত নেই। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি গ্রাম থেকে মানুষের শহর প্রবেশ মুখে ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন কৈমারী সড়কের পাশে পশু জবাই এবং দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা ও বর্জ মুক্ত রেখে কর্তৃপক্ষের নিকট একটা ভাল পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহ পানি নিষ্কাশনের জন্য শহরে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসি।
জানা গেছে, ২০০১ সালে এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়। যা বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে রূপান্তরিত করেছে সরকার।
এই পৌরশহরে কসাইখানা ও পশু জবাইয়ের নির্ধারিত কোনো স্থান না থাকায় পৌরবাসীর এখন এটাই প্রধান সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরজুড়ে পরিণত হয় কাদা আর জলাবদ্ধতার। কাদা-জলে যেনো মানুষের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।
পথচারী মোসলেম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান
ও রণজিৎ রায় সহ তহমিদার রহমান মিলন খোলা কাগজকে জানায়, জানিনা গরু-ছাগল জবাইয়ের কোনো নির্ধারিত জায়গা আছে কিনা। তবে শহরের প্রবেশ পথে পশু জবাই করে ময়লা আবর্জনা এবং বর্জ ফেলার কারণে এখানে বৃষ্টি পানিতে ধুইয়ে শহরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
একটা প্রথম শ্রেণীর পৌরশহরে আমাদের এমনটা প্রত্যাশা নয়। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করি।
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ময়লা মিশ্রিত জমে থাকা পানিতে জিবানু থাকে এতে এলাকায় মশা-মাছিরও বিস্তার ঘটে। এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ব্যাপক বিস্তার ঘটতে পারে। এসব নিরসনের জন্য সাময়িকভাবে চুন ও পটাশিয়াম প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে মেয়র নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার বাবা (মরহুম ইলিয়াস হোসেন বাবলু)’র স্বপ্ন একটি স্মার্ট পৌরসভা গঠন সহ পৌরবাসির কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পুরণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য সকলের সহযোগীতার প্রয়োজন আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category