মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার,ডোমার নীলফামারীঃ
গত ৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগ সহ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির-উপাসনালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় দুষ্কৃীতিকারীরা ব্যাপক লুটতরাজ,অগ্নিসংযোগসহ বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী সহ সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, বাড়িঘর ও মন্দির-উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে নীলফামারীর ডোমারে হাজার হাজার নারী পুরুষ সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সমাগমে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১১ই আগস্ট) বিকেলে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হিন্দু সম্প্রদায় সংগঠনগুলোর ডাকে সর্বস্তরের হিন্দুদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলঘুমটীর মুচির মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন আমাদের একটাই দাবি সংখ্যালঘুদের জন্য কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভকারী মানিক অধিকারী বলেন, দেশ ২য় বারের মতো স্বাধীন হলেও, আমরা পরাধীন রয়েছি। আমাদের স্বাধীনতা নেই। আমরা যদি স্বাধীন হইতাম তাহলে রাত জেগে সংখ্যালঘুদের মন্দির- উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য পাহারা দিতে হত না। এখন আমাদের একটাই দাবি আমরা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে এর বিচার চাই।
এবিষয়ে উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা নিখিল চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা বাংলাদেশ ছাড়তে চাই না। তবে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের বের করে দিতে চাইলে, আমরা রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের মতো বুক পেতে দিতে প্রস্তুত আছি গোটা হিন্দু সমাজ।
উপজেলা ক্ষত্রিয় সমিতির সাবেক সভাপতি বাবু গোরাচাঁদ অধিকারীর সভাপতিত্বে অন্যান্নদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায়, শেখর চন্দ্র সাহা, বানেশ্বর রায়, অমল রায়, প্রদীপ কুমার শর্মা, মিন্টু কুমার সাহা, সত্যেন রায় এবং উজ্জ্বল কানজিলাল প্রমুখ।
এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতিসহ অন্যান্য সনাতনী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।