নীলফামারীতে ১২ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে জাবেদ আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জাবেদ আলী সদর উপজেলার সুটিপাড়া বকসিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ঘাসিপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফেরিওয়ালা।
অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে জাবেদ আলীকে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ সালের ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারা সন্দেহাতিভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় প্রদানের সময় ওই আসামি আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ‘২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই শিশু সুটিপাড়ার তার খালুর মুদি দোকানে অবস্থান করছিল। এসময় দোকানের আশে পাশে কেউ না থাকায় ফেরিওয়ালা আসামি জাবেদ আলী ওই শিশুকে সাইকেল কিনে দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে তার বকসি পাড়ার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্রের মুখে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটি তাল ঘর থেকে পালিয়ে বের হয়ে বাইরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা জাবেদ আলীকে আটক পুলিশে দেয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি রমেন্দ্রনাথ বর্ধণ বাপ্পী বলেন, এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।