নীলফামারীতে বিএনপির শহীদ দুই নেতা গোলাম রাব্বানী ও আতিকুর রহমানের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করলেন জাতীয়তাবাদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুম্মার নামাজ শেষে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ এলাকায় এই দুই বিএনপি নেতার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করেন তারা।
কবর জিয়ারত শেষে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুহৃিদ হোসাইন বলেন, ‘২০১৩ সালে যে নাটকিয় ঘটনার ততকালীন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে রামগঞ্জের মাটিতে ঘটেছে অতীতেও আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি প্রতিবাদ করেছি কিন্তু কোন ফল পাইনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে এর পরেও আমরা কোন হত্যার বিচার পাচ্ছি না। আমরা অতি দ্রুত এই হত্যার বিচার দাবি জানাচ্ছি। যদি প্রশাসন এই হত্যা দুটির রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারের ব্যবস্থা না করে, তাহলে আমরা রাজপথে হত্যার বিচারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘নীলফামারীতে আমাদের দলের দুইজন মারা গেছে। তাদের এই পরিবারের ত্যাগ সারা জীবন মনে রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত নাকি এই শহীদ পরিবারের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে। যারা হুমকি দিচ্ছেন দল মত নির্বিশেষে তাদের ব্যবস্থা এই নীলফামারী মাটিতেই হবে। ১৬ বছর দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে এই নতুন স্বাধীন দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দিবোনা।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এনামুল হক এনাম, সহ সভাপতি সাইফ চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ অপুসহ আরো বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য- ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারীর রামগঞ্জে সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ঠুনঠুনিয়া গ্রামে দূরসম্পর্কের নানা মিয়া হোসেনের বাড়ি থেকে ১৫-১৬ জন সাদাপোশাকধারী ব্যক্তি র্যাব পরিচয়ে তাকে তুলে আনেন। এর পরবর্তীতে ১৮ জানুয়ারি সকালে জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নীলফামারী-ডোমার সড়কের গোচামারী ব্রিজের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ছাত্রদলের টুপামারী ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারিতে গুমের শিকার হন। এর পরবর্তীতে ২০ জানুয়ারি সৈয়দপুরের নাড়িয়া ডাঙ্গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।