ওই স্থানে বাড়ী ভাড়া নেওয়া ইসমো তারা নামে এক নারী বলেন,‘আমরা বাদশা নামের এক লোকের কাছ থেকে বাড়ীটি ভাড়া নিয়েছি। প্রতিমাসে বাড়ী ভাড়া বাবদ তাকে ২৫০০ হাজার টাকা প্রদান করি।’ মহাসড়ক সংলগ্ন হোসেন রহমান নামে এক দোকানদান বলেন,‘ আমি এক ব্যক্তির কাছে এই ছোট দোকানটি ভাড়া নিয়েছি। প্রতিমাসে তাকে ভাড়া দেই। সে যখন চলে যেতে বলবে চলে যাবো।’
এসব সরকারি জমি ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সামনে কেউ স্বীকার না করলেও অনেকেই ভূমি খেকো চক্রটির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে জমি ক্রয়-বিক্রয় করেছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তি বলেন,‘এসব জমি ক্রয়ের পিছনে রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরা সব সময় কিছু গুন্ডা প্রকৃতির ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে বের হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্থানীয় প্রভাবশালী মশিউর রহমান লিটন, জিয়া ইসলাম, বাদশা রহমান। এরা জমি দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরি করে কখনও ভাড়া দিচ্ছে আবার কখনও বিক্রি করছে। প্রশাসন আসে দেখে, লিখে নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।’
মহাসড়কের পাশে সরকারি জমিতে মার্কেট তৈরি করা জিয়া নামের ওই ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে এবং তার বাড়ীতে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। তার ছেলে ইকবাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘জমিটি আগে থেকেই আমাদের দখলে আছে। এখন আমরা একটি হোটেল তৈরি করার জন্য পাকা ঘর নির্মাণ করছি।’ লিটন নামে এক ব্যক্তি প্লট আকারে জমি বিক্রির বিষয়ে প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও অকপটে স্বীকার করে সরেজমিনে তদন্ত করা পরামর্শ প্রদান করেন জিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে মশিউর রহমান লিটন মুঠোফোনে বলেন,‘আমি বাড়ী ভাড়া দিয়েছি বা আমার কোনো বাড়ী সেখানে আছে কি না আপনি যাচাই করেন। কেউ যদি বলতে পারে তাহলে আমার নামে যা লিখার লিখেন আপনি। ওখানে মার্কেট-বাড়ী তৈরি করতেছে জিয়া।’ অপর ব্যক্তি বাদশা রহমানের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগযোগ সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে সংগলশী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন,‘আমরা ওই অঞ্চলের একটি রিপোর্ট আমাদের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। দখলের বিষয়ে তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করার পরও তারা কথা শুনে না।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,‘আমি কয়েকদিন হল নীলফামারীতে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। সরকারি জমি দখলের সঙ্গে যারা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’