নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইলের আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম (পরিচালক) মাও: আমিনুল্লাহকে জোর করে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবার স্বারকলিপি প্রদান করেছে ম্যানেজিং কমিটির একাংশ ও স্থানীয়রা। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুস সামাদ শিকদারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাও: ইমামুল ইসলাম, আতাউল্লাহ এবং সাজিদল ইসলাম মাদ্রাসার কিছু ছাত্রদেরকে উষ্কে দিয়ে ৪২ বছরের প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম মাও: আমিনুল্লাহকে একটি কক্ষে তিন ঘন্টা আটকে রাখেন। পদত্যাগ না করলে কক্ষ থেকে বের হতে দিবেন বলে জানান। মোহতামিম পদত্যাগ না করলে তাকে বাধ্য করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পদত্যাগ করান। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবিবর রহমান চৌধুরীকে সকল সদস্যকে ডেকে সভা করার নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে সেটি চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে বলে জানান।
কিন্তু সভাপতি এ পর্যন্ত কোনো সভার আয়োজন করেন নি এবং কমিটির কোনো সদস্যকে ডাকে নি। এমনকি মাদ্রাসার বেহাল দশা থেকে উত্তির্ন হতে শিক্ষার্থীরা সভাপতিকে একাধিকবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। সভাপতি তাদের পরিবারের লোকজনকে দিয়ে মাদ্রাসা পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এরকম পরিস্থিতি থেকে উত্তির্ণ হতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমেটির গুটি কয়েকজন ছাড়া সকল সদস্য ও স্থানীয়রা পুনরায় মাও. আমিনুল্লাহকে মোহতামিম নিযুক্ত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান স্বারকলিপিতে।’
স্বারকলিপি প্রদানের সময় ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আসাদুল হক শাহ্, আফতাব উদ্দিন সরকার টুকু, মাসুম কবিরাজ, মামুন বসুনিয়া, গোলাম রব্বানী, আবুল হোসেন, স্থানীয় ব্যক্তি আব্দুল হালিম খান, জাহিদুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার সিদ্দিক, ফয়সাল হুজুর, ভুট্টু সহ স্থানীয় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক পরিচালক মাও. মোহাম্মদ আলী বলেন,‘মাদ্রাসাটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পূর্বের মোহতামিম (পরিচালক) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গেছেন। তিনি মাদ্রাসার কোনো আয় ব্যয়ের হিসেব দেন নি। এখন তিনি চলে গিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’