“তিস্তা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে” মন্তব্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে পানির যে অভাব এবং বন্যার মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাওয়া এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আপনাদের সুখবর দিয়ে যাই আমাদের মাননীয় পানিসম্পদ উপদেষ্টা আমি এবং আমরা আবারো আগামী বছরের শুরুর দিকে উত্তরবঙ্গে আসব। এই তিস্তার পানি সমস্যা কিভাবে নিরসন করা যায়। একটা দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান কিভাবে করা যায়। তার জন্য গণশুনানির আয়োজন করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা শুনবো। তিস্তা নিয়ে আপনাদের সমস্যা গুলো শুনে তার প্রেক্ষিতে বৃহৎ পরিসরে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। আমি আশাবাদী এর মাধ্যমে আপনাদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধান হবে।’
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) নীলফামারীর জলঢাকা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় উত্তরবঙ্গর প্রতি যে বৈষম্য হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার সেই বৈষম্য ঘোচাতে এবং সারাদেশে যে ভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে,ঠিক একই ভাবে যাতে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়ন কার্যক্রম হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এ অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগামি একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় উৎপাদিত ফসলের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ উদ্বৃদ্ধ থাকে। এটা দিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে কৃষি ভিক্তিক শিল্পের বিস্তারে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। উত্তরবঙ্গের স্থলবন্দরকে আরো শক্তিশালি করা হবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন,’অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সংস্কার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময় বাংলাদেশে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টানকে ধ্বংস করা হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে যদি পুন:গঠন না করা হয় তাহলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে কখনও বের হতে পারব না। তাই আমরা এইসব সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি উন্নয়ন কার্যক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে এলাকা ভিক্তিক বৈষম্য হয়ে থাকে। এখন থেকে এলাকাভিক্তিক কোন বৈষম্য থাকবে না। যে অঞ্চল গুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা পূর্ণবন্ঠন করছি। উন্নয়ন যে সুসমভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে লক্ষে অন্তবর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর পিপিএম, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আবু সাঈদ লিয়ন, সহ-সমন্বয়ক রেদওয়ান আহমদে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।