• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন |
Headline :
জলঢাকায় সোয়েব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১শত জনকে খাবার বিতরন- জলঢাকায় স্কুল কক্ষে পাওয়া গেল ঈদ উল আযহায় দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের চাউল “সবার পাঠশালা”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদীয় প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী নীলফামারীতে শুরু হলো মাসব্যাপী গ্রামীণ কুটির শিল্প মেলা নীলফামারীর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন ট্রাক থেকে ৫.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চালক গ্রেফতার জলঢাকায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সেমিনার অনুষ্ঠিত জলঢাকায় রাস্তায় অবৈধ দেয়াল নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন এলাকাবাসী  নীলফামারী পৌরসভায় ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

সম্পাদকীয় – উদ্বৃত্ত ধানের দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণহীন

মাহাদী হাসান মানিক / ৪৭ Time View
Update : শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত রংপুরসহ ১৬টি জেলায়, প্রতি বছর আমন, আউশ ও বোরো মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও এ অঞ্চলে বছরে ৫৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে।

কিন্তু এত উৎপাদনের পরও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সাধারণত আমন মৌসুমে চালের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা বেড়েই চলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় সরু চালের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে এবং প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তা ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও এটি ১৯৫০-২০০০ টাকায় পাওয়া যেত।

নাজিরশাইল চালের দামও ৪-৫ টাকা বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা কেজি হয়েছে। মোটা চাল, যেমন স্বর্ণা ও ব্রিধান-২৯, পাইকারি বাজারে ৫০-৫২ টাকায় এবং খুচরা বাজারে ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়া হচ্ছে না, বরং বেশি মুনাফার আশায় গুদামজাত করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও রাইস মিল মালিক সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চালের আড়তদারদের মতে, বড় কৃষক ও রাইস মিল মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধান মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন, যা মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া, সম্প্রতি পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াও চালের দামে প্রভাব ফেলছে। ক্রেতারা বলছেন, চালের বাজারের এই অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা ভোক্তাদের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে হাওর অঞ্চলে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে দাম কমতে পারে। তবে এটি কেবল সম্ভাবনা মাত্র।

সরকারের উচিত বাজার তদারকি বাড়ানো, গুদামে মজুত রাখা চালের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অন্যথায়, উদ্বৃত্ত ধানের দেশেও চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে থাকবে।


More News Of This Category