• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন |
Headline :
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের দেশে আগমনে উচ্ছ্বসিত নীলফামারীবাসী জলঢাকায় জামায়াতের জনসভায় দ্রুত তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই জানালেন – ডা.শফিকুর রহমান নীলফামারীতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে আবু ছাইদার রহমান স্বারক বৃত্তি প্রদান নবগঠিত নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচিতি সভা আওয়ামিলীগ সরকার দেশকে সোনার বাংলা করতে গিয়ে শ্মশান বাংলায় পরিনত করেছে : ডা. শফিকুর রহমান চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে করার দাবিতে মানববন্ধন পেশিশক্তির নির্বাচন দেখতে চায় না জনগন: ডা. শফিকুর রহমান সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না জলঢাকায় জনসভায় জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান   পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের দেশে আগমনে উচ্ছ্বসিত নীলফামারীবাসী

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন: বার্তা সম্পাদক / ৯ Time View
Update : রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে (বড় বোন সেলিমা ইসলামের ছেলে) ও সাবেক নীলফামারী জেলা বিএনপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করায় উচ্ছ্বসিত নীলফামারী জেলার মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকালে নীলফামারী জেলাসহ ডোমার-ডিমলা থেকে তাঁর সমর্থক ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকা জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবেন। যাঁরা ঢাকায় যেতে পারেননি, তাঁরা সময় গুনছেন কখন নিজ এলাকায় আসবেন প্রিয় নেতা।

ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোমনাতি গ্রামে। তিনি নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলার) আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান বলেন, ”মানি লন্ডারিং মামলাসহ অসংখ্য উদ্দেশ্য মূলক এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের প্রিয় নেতাকে পতিত স্বৈরাচারী সরকার বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য করে। বিভিন্ন মামলায় তাকে কারাদেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ আছেন, তিনিই ন্যায়বিচারক। সব মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়ে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ইনশাআল্লাহ তিনি মুক্ত আকাশ দেখবেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা সাঁজানো মামলায় আমাদের প্রিয় নেতাকে সাজা দিতে চেয়েছিল, আজ তারা দেশছাড়া। তাদের জন্য ঝুলছে ফাঁসির দড়ি। এটাই হচ্ছে ইতিহাসের নির্মম সত্য ও বাস্তবতা। আমাদের নেতা, আমাদের সন্তান এখন দেশের মাটিতে। আদালত তাকে একাধিক সাজানো মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আর একটিমাত্র মামলা সেখানেও তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। তাঁর আগমনের অপেক্ষায় এখন নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বিভূতিভূষণ বলেন, ‘তুহিন ভাই এই অবহেলিত এলাকার প্রাণপুরুষ। তার খালা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এলাকার ব্যাপক ‍উন্নয়নসহ অসংখ্য মানুষকে চাকরি দেওয়া এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। ভগবানের কৃপায় আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাঁকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।’

ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা বলেন, ”যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুহিন ভাইয়ের আসার খবরে নীলফামারী জেলায় আনন্দের বন্যা বইছে। বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকার ডোমার-ডিমলায় ও ডিমলা উপজেলার তিস্তায় ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন, দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে এই আনন্দের ধারা। প্রিয় নেতাকে বরণ করতে নীলফামারী জেলার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মনের মধ্যেও উল্লাস বইছে। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, মাঠঘাটে আড্ডায় শুধু ”তুহিন ভাইয়ের আগমনের আলোচনা স্থান পাচ্ছে।’
এদিকে ”তুহিনকে বিমানবন্দরে বরণ করতে রবিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত নীলফামারী ও তার নির্বাচনী এলাকা থেকে বিমানে, ট্রেনে, বাস ভাড়া, মাইক্রোবাসে করে, ব্যক্তিগত গাড়িতে কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী ঢাকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হন। জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রিয় নেতাকে বরণের জন্য জেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী ঢাকায় যাবো।ইতোমধ্যে নীলফামারী অঞ্চল থেকে মানুষ এসে ঢাকা যাওয়া শুরু করেছেন। তিনি আবারও এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে হাল ধরবেন, এটা আমাদের প্রত্যাশা। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমাদের প্রিয় নেতাকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। ১৮ বছর পর আমাদের প্রিয় নেতা দেশে আসছেন। আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার আগমনের মধ্য দিয়ে দেশের গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের পথ প্রশস্ত হলো।’

জেলা বিএনপি সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ও তুহিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভুয়া মামলা দিয়েছিল। অনেককে বছরের পর বছর জেলে রেখেছে, তাদের বিচার কে করবে? ”ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে তার নির্বাচনী এলাকার গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করেন। দলমত নির্বিশেষে সবার কথা তিনি শুনতেন। তার কাছে গিয়ে কেউ কোনো দিন খালি হাতে ফিরে আসেনি। তাঁর সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই তিনি সাধারণ মানুষের প্রিয় নেতা।’


More News Of This Category