আবেদ আলী : ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারীর জলঢাকায় নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মে দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে জলঢাকা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে জাতীয় এবং সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করে দুনিয়ার মজদুর এক হও লড়াই কর, স্লোগানে স্লোগানে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে জলঢাকা পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এক মিনিট শপথ বাক্য পাঠ করা হয়।
পরে বাস-মিনিবাস শ্রমিক চত্বরে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে মিলিত হন শ্রমিকরা। মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মমিনুর (সিনিয়র) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়নের উপদেষ্টা হামিমুর রহমান হামিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সহ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী, সড়ক সম্পাদক জুয়েল, ছাড়াও ট্রাক শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান সহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের মর্যাদা, শ্রমের মূল্য ও দৈনিক (সর্বোচ্চ) আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে শ্রমিকেরা যে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন—তাদের সেই আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে এ দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বজুড়ে শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্কে এই দিবসের তাৎপর্য ও প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এর ফলে শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় নেমে আসে আট ঘণ্টায়। সারা বিশ্বের শ্রমিকরা তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করেছে। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ে এখন প্রায় সফল। তবে শ্রেণি-বৈষম্য এখনও পুরোপুরি দূর না হলেও মে দিবসের সেই আত্মত্যাগ নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে অনেকটাই মুক্ত করেছে।